মার্চের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা ঘোষণা
ই-বার্তা ডেস্ক।। ২০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন সারাদেশের এক লাখ ৮২ হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। যাদের নামে কোন আপত্তি নেই। এমন মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। সংসদে প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়া হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। যাদের ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আমরা মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো।
মন্ত্রী আরো বলেন, যাদের নামে আপত্তি এসেছে, তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। তবে কিছু সংখ্যেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানজনক আইডি কার্ড এখন পায়নি। তবে আগামী ২৬ মার্চের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্য আনোয়ার আবেদীন খানের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জাতীয় পতাকার মতো রঙ দিয়ে সাজানোর প্রস্তাব খুবই প্রশংসনীয়। বিষয়টি আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব।
আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার প্রশাসন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা বড় ফলকে লিখে তা টানানোর নির্দেশ দেয়া আছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণ করা হবে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু
