‘মালিক বাবলুর লালসার শিকার হয়েছেন অনেক নার্স ‘

ই-বার্তা ।।  নাটোরে সংখ্যালঘু নার্স ধর্ষণ ও তার ভিডিওধারণ করার ঘটনায় আল-সান হাসপাতাল পরিচালক শফিউল আলম বাবলু গ্রেফতারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অনেক কাহিনী লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের নার্সরা তার লালসার শিকার হয়েছেন।

তাদের কেউ কেউ হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্যও হয়েছেন এছাড়া তার বিরুদ্ধে অনেকের কাছে থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠছে। হাসপাতাল ভবন নির্মানের সময় ব্যবসায় অংশীদার করার কথা বলে এসব অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবারের ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী ও ভাই জানান, মান সম্মানের ভয়ে তারা ঘটনাটি নিয়ে কাউকে কিছু বলেননি। তারা অভিযোগ করে বলেন, অশ্লীল ভিডিও করে ব্ল্যাক মেইল করে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয়েছে। মামলা না করার জন্য শনিবার থেকেই মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ।

অপরদিকে এই ধর্ষনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার ঘোষ জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবী জানাতে তারা প্রয়োজনে রাজপথে নামবেন। রোববার তারা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে এবিষয় নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসুচী নিবেন। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ধর্ষক বাবলুর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে আল সান হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক শফিউল আলম বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা কিছু আলমত পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। রোববার (৮ এপ্রিল) যে কোন সময় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ওসি আরও বলেন, বাবলুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। লোকমুখে প্রচারিত হলেও থানায় এধরনের কোন লিখিত অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার ধর্ষক হাসপাতাল মালিক পরিচালক শফিউল আলম বাবুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।