মাশরাফি জিম করেন গান শুনতে শুনতে

প্রায় দেড় যুগ হলো ক্রিকেট খেলছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০০১ সালে টেস্ট ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।

 

প্রায় ১৮ বছর ধরে ক্রিকেট খেলে যাওয়া মাশরাফিকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসতে হয়েছে। মাশরাফির দীর্ঘ এ পথ চলায় সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে একের পর এক ইনজুরি।

বারবার ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেও ক্রিকেটের প্রতি তার ‘ভালোবাসা’ আবার তাকে ফিরে এনেছে খেলার মাঠে।

৩৫ বছর বয়সে পদার্পণ করতে যাওয়া মাশরাফি এখনও ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। এই ‘বুড়ো’ বয়সেও লড়াই করে যাচ্ছেন নতুন উদ্যমে।

খেলার জন্য নিজেকে ফিট রাখতে প্রতিনিয়ত জিম করে থাকেন বাংলাদেশ সেরা এই পেস বোলার। বয়স এবং শরীরের চ্যালেঞ্জ (ইনজুরি) উতরে এখনও প্রতিদিন জিম করেন তিনি।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের  দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বলেন, ‘সত্যি বলতে, অনেক দিনই হয়তো সকালে উঠে শরীর সাড়া দিতে চায় না। কিন্তু সেটাকে প্রশ্রয় দেই না। কাজটা কষ্টকর। বয়স ৩৫ হবে অক্টোবরে। ইনজুরিগুলোও বুড়ো হচ্ছে আমার সঙ্গে। এজন্য আগের রাতেই কিছু পরিকল্পনা করে রাখি। হয়তো ঠিক করে রাখলাম, কালকে জিমে গিয়ে ধুমধাড়াক্কা কিছু গান শুনব আর জিম করব। এক ঘণ্টা গান শুনব আর ফাটিয়ে জিম করব। ওই গানশোনাই আমার অনুপ্রেরণা। গান শুনতে শুনতে জিম করে ফেলি। ’

 

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে একজন পার্টনার খুঁজে নেই। কাউকে বলি, চল কালকে দৌড়াই, জিম করি। ওর ভেতর থেকেই আমি হয়তো অনুপ্রেরণা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। এভাবেই আমাকে চাঙা রাখতে সাহায্য করে।’

 

সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৩৯ উইকেট নিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছেন মাশরাফি। ঢাকা লিগের এক আসরে কোনো বোলারের এটাই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে এমন ভালো বোলিং করার অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে মাশরাফি যা বলেন।

 

‘প্রথমত, নিজের কাছে নিজের ভাবমূর্তির ব্যাপার আছে। ছোটদের সঙ্গে খেলছি, নিজেকে সেভাবে তুলে ধরা ও মেলে ধরার ব্যাপার আছে। একটা বার্তা দেয়া, ওদের সামনে উদাহরণ তৈরি করার ব্যাপার আছে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘আর শুধু লিগই নয়, জাতীয় দলের জন্যও অনেক কিছু করার তাড়না কাজ করে। হ্যাঁ, চাইলে তো কোনো রকমে খেলে যাওয়া যায়। কিন্তু আমি কখনোই খেলার জন্য খেলে যেতে চাইনি। নিজের কাছে নিজের চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেশের হয়ে খেলছি, দেশকে আরও অনেক কিছু দেয়ার ইচ্ছা আছে। সেসব থেকেই নতুন কিছু শেখার তাড়না আসে। শিখতে আমার কখনোই আপত্তি নেই, ক্লান্তি নেই।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক