মিয়ানমার সেনাদের আর্থিক সহয়তা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

ই-বার্তা ডেস্ক।।  মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দেয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত দল।  একই সাথে দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছে তারা। 

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে ২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে  সাত লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।  জাতিসংঘের তদন্ত দল তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেনারা রোহিঙ্গাদের হত্যা, তাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া, নারীদের ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।  রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালাতে সেনাবাহিনী এই অভিযান চালিয়েছিল এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

জাতিসংঘ মিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে সামরিক বাহিনী সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।  আর সেই দায় চাপিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর। 

এক বিবৃতিতে মিশনের সদস্য ক্রিস্টোফার সিদোতি বলেন, ‘অতীত থেকে এখনও চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিকে নজর দেয়া জরুরি।  কে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করে তাদের অর্থপ্রবাহ বিচ্ছিন্ন করতে চাই আমরা। যেন তাদের ওপর চাপ তৈরি হয় এবং সহিংসতা কমে যায়।’

মিয়ানমারের দাবি, তারা কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি।  তাদের নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেনি বরং সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের হামলার জবাব দিয়েছে।

এদিকে রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে মিয়ানমারের।  তাদের ওপর আবারও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। 

ঈ-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু