মোদিকে ‘ভারতের জনক’ না মানলে সে ভারতীয় নয়: বিজেপি মন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ভারতের জনক’ বলে যারা মানতে পারছেন না, তাদের ভারতীয় বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। দেশটির টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রায়ই বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ‘কুখ্যাতি’ অর্জন করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ‘হাউডি মোদি’ নামের এক অনুষ্ঠানে ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ফাদার অব ইন্ডিয়া’ বা ভারতের জনক উপাধি দিলে এমন বিতর্কের সূত্রপাত।

ট্রাম্প ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ভারতের অতীতের কথা মনে আছে। তার চেহারা বিধ্বস্ত ছিল। সেখানে অনেক মতানৈক্য ছিল। অনেক লড়াই ছিল। নরেন্দ্র মোদি সবকিছু এক করে দিয়েছেন। একজন পিতার মতোই তিনি সবকিছু ঠিক করেছেন। আমরা তাকে ভারতের জনক বলতে পারি।’

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘যারা দেশের বাইরে থাকেন, ভারতীয় হিসেবে তারা গর্ববোধ করেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিত্ব এবং তার ব্যক্তিগত বিস্তারের জন্য।’

তার কথায়, ‘প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন বিশেষণ ব্যবহার করে মন্তব্য করেন। শুধু ভারতীয় নয় একজন আন্তর্জাতিক নেতার প্রশংসা করেন তিনি। যদি আপনাদের কেউ এতে গর্বিত না হন, তাহলে তার নিজেকে ভারতীয় হিসেবে দাবি করাই উচিত নয়।’

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর অনেক ভারতীয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কারণ, ভারতে জাতির জনক হিসেবে শুধু মহাত্মা গান্ধীকেই বোঝানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর নিন্দা করেছেন অনেক ভারতীয়। তবে মোদিকে ভারতের জনক বলায় তার দল বিজেপি ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

মোদির ওই অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। মোদির বিরুদ্ধে ‘সক্রিয়ভাবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা’চালানোর অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। দলটি নরেন্দ্র মোদিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের একজন কর্মী হিসেবে অভিহিত করেছে।

টেক্সাসের স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী মোদির অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর তৈরির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেন। নির্বাচনী প্রচারে গান্ধীর হত্যাকারীকে ‘দেশপ্রেমিক’ দলটির আরেক নেতা।