মোদি বিরোধী আন্দোলনে রাহুল-মমতা একসাথে

ই-বার্তা ডেস্ক।।  সিবিআই-পুলিশ সংঘাতের জেরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ধরনা আন্দোলনে ভারতের বিরোধীরা একজোট হয়েছে।  রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে ফারুখ আবদুল্লাহ, অখিলেশ যাদব, শারদ পাওয়ার, সবাই নরেন্দ্র মোদির বিদায় চাইছেন।

বিরোধী নেতারা কেউ টুইট করে, কেউ আবার ফোন করে মমতার মোদিবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। 

শারদা দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা রোববার সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজিব কুমারের বাসায় হাজির হলে সেখানে সিবিআই-কলকাতা পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। 

কলকাতার লাউডন স্ট্রিটে রাজিবের বাড়িতে সিবিআই কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পরই ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধরনায় বসেন মমতা।  সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের যুদ্ধ গত ৩০ ঘণ্টায় মোদি সরকার বনাম মমতা ব্যানার্জি রূপ নিয়েছে।  বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছে কংগ্রেস, সপা, বসপা, আরজেডি, বিজেডিসহ সব কেন্দ্রবিরোধী দলগুলো।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন সিবিআইকে কেন্দ্র ব্যবহার করছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংসদে ব্যাখ্যা দাবি করে তৃণমূল সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেন, ‘রাজনৈতিক কাণ্ডে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ 

কৃষকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘আপনাদের জন্য জীবন দিয়ে আন্দোলন করেছি।  আবারও করব। এখানে আগের সরকার যখন কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছিল, তখন ২০০৬ সালে একই জায়গায় ২৬ দিন ধরে অনশন করেছি।  আবার এখন আপনাদের সবার অধিকার রক্ষায় একই জায়গা বসতে হয়েছে। মানুষের অধিকার, কৃষকদের অধিকার রক্ষায় যা করার সবটুকু করব আমি।’

কৃষকদের জন্য তার বার্তা, ‘আগামী দিনে কেন্দ্রে যদি মোদি সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার হয় তবে কৃষকদের স্বার্থ আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।  কারণ কৃষকরাই দেশের সম্পদ।  কৃষক না থাকলে দেশ চলবে না।’

সকাল থেকেই ধরনা মঞ্চে আসা জনতাকে আন্দোলনকারীরা বলে দিচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এ প্রতিবাদের পাশে দেশের আর কোন কোন নেতা সমর্থন করেছেন।  নাম ঘোষণা হতেই জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ছেন।

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন  সাজু