মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনীর অভিযান, দোকানদারদের সতর্কবার্তা

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে দোকানে বরফ–দই দিয়ে লাচ্ছি বিক্রি করেন মো. আরিফ। দোকানের ঝাঁপি উঠিয়ে দিব্যি লাচ্ছি বিক্রি করছিলেন তিনি। চৈত্রের গরমে কোমল পানীয় কিনতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্রেতাদের খানিকটা জটলাও ছিল। ঠিক এ সময় বেড়িবাঁধ এলাকায় টহল দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। মাইকে ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সেনাসদস্যদের দলটি মো. আরিফকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে। এর পরপরই দোকান বন্ধ করে দেন তিনি।

করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও দোকান খোলার কারণ জানতে চাইলে মো. আরিফ বলেন, ‘আজই দোকান খুলেছি।  আর খুলব না। আমার ভুল হয়ে গেছে।’ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটির এই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আজ বৃহস্পতিবার বেড়িবাঁধ এলাকায় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টহল দেয় সেনাবাহিনী। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আজ বৃহস্পতিবার বেড়িবাঁধ এলাকায় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টহল দেয় সেনাবাহিনী।

শুধু বেড়িবাঁধ মোড় নয়, মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকায় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টহল দেয় সেনাবাহিনী। আজ বেলা দুইটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা টহল দেন মেজর মো. মুহাদ্দিস আলমের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা। এই এলাকার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গত ২৪ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী নামানো হয়।

এরপর গতকাল বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি সেনাবাহিনী কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশাবলি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আজ বৃহস্পতিবার বেড়িবাঁধ এলাকায় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টহল দেয় সেনাবাহিনী। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আজ বৃহস্পতিবার বেড়িবাঁধ এলাকায় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে টহল দেয় সেনাবাহিনী। 

আজ টহলের সময় মেজর মো. মুহাদ্দেস আলম সাংবাদিকদের বলেন, এলাকা ভাগ করে টহল কার্যক্রম চলছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘোরাফেরা না করেন, সেই বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে। দুপুরের অভিযানের পর সন্ধ্যার দিকে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে আবারও টহল কার্যক্রম চালানো হবে। দ্বিতীয়বার কেউ নির্দেশ অমান্য করলে পুলিশের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনাবাহিনীর টহলের সময় প্রধান সড়ক ও অলিগলির মানুষের জটলা সরিয়ে নিতে বলা হয়। একই সঙ্গে চায়ের দোকান, টংঘরে আড্ডা বন্ধ করে ঘরে চলে যেতে বলা হয়। তবে নিত্য ও জরুরি সেবা প্রদানকারী দোকানগুলো এর আওতার বাইরে ছিল। এর পাশাপাশি টহলের সময় যাঁদের সঙ্গে মাস্ক ছিল না, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁদের বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

একই ভাবে রাজধানী ঢাকার ভাষানটেক, বাড্ডা, সাঁতারকুল, লালবাগ, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম চালানো হয়।