যশোরের শার্শায় ডাক্তারের অবহেলায় দুই নবজাতকের মৃত্য

ই- বার্তা।।   যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার জোহরা ক্লিনিক ও বেনাপোল বাজারের রজনী ক্লিনিকে ডাক্তারের অবহেলায় দুই নবজাতকের মৃত্য হয়েছে।

বাগাআঁচড়ার জোহরা ক্লিনিকে সিজার করার সময় মাথা কেটে গিয়ে এক নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার বিকেলে শার্শা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাসান আলীর গর্ভবতী স্ত্রী রেহেনা খাতুনকে জোহরা ক্লিনিকে ভর্তি করে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য। অপারেশনের সময় অসাবধানতাঃ বশত প্রসুতির গর্ভের শিশু সন্তানের মাথা কেটে যায়। এতে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে হাসানের বড় ভাউ মাসুদুর রহমান অভিযোগ করেছেন।

মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জোহরা ক্লিনিকের ডাক্তার হাবিবুর রহমান একজন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি সাতক্ষীরা সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক।ওই দিন তিনি জোহরা ক্লিনিকে ১১টি প্রসুতি মায়ের সিজার করেন। তাড়াহুড়োর মধ্যে তিনি সিজার করার কারনে নবজাতক শিশুটির মাথা কেটে ফেলেন। এতেই শিশুটি মারা যায়। এ ব্যাপারে ডাক্তার হাবিব ও তার স্ত্রী আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা রাজি হইনি। জোহরা ক্লিনিকে এর আগে আরো ১০/১২ জন রোগী ডাক্তারের অবহেলায় মারা গেছে বলে জানান ক্লিনিকের পাশের কয়েকজন দোকানদার।

অপর দিকে বুধবার রাতে বেনাপোল বাজারের রজনী ক্লিনিকে সিজার বাণিজ্যের কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী অপচিকিৎসার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লিনিক বন্ধের দাবীতে বি¶োভ করেছেন। নিহত নবজাতক বেনাপোল পৌরসভার নারানপুর গ্রামের নাজমা বেগমের ছেলে।

নিহত নবজাতকের নানা আনোয়ার রহমান জানান, তার মেয়ের প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার সকাল ৭ টায় তিনি রজনী ক্লিনিকে ভর্তী করেন। সেখানকার কর্মীরা আলট্রাস্নোসহ যাবতীয় পরীক্ষা করে জানায় মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ্য আছে। তবে সিজার করতে হবে।সিজারের জন্য ১০ হাজার টাকা লাগবে। কথামত ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার সুইট এর নিকট ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়। এদিকে সিজারের জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপে¶ায় থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তার মেয়ে। এসময় তিনি যশোর নিতে চাইলে ক্লিনিকের ম্যানেজার সুইট তাকে বলেন তাদের হাতে ভাল ডাক্তার আছে বিকালের মধ্যে চলে আসবে। এ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু ডাক্তার সন্ধ্যা ৭ টায় এসে সিজার করেন। সিজারে দেরী হওয়াতে নবজাতক মারা যায়।

এলাকাবাশি ও নিহতের পরিবার এ ঘটনায় ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকলে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত নবজাতকের পরিবার যদি অভিযোগ জানায় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে জোহরা ক্লিনিকের ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, বাচ্চা তার মাতৃগর্ভে মারা যায়। অস্ত্রোপচারের সময় মারা গেছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপর দিকে বেনাপোল রজনী ক্লিনিকের ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, , এ গর্ভবতি মায়ের ডায়াবেটিকস ছিল। এমন রোগী সিজারে ঝুকি থাকে। তবে তিনি যে সন্ধ্যায় অপারেশন করবেন ক্লিনিক কর্তৃপ¶ তা জানতেন। এখানে তার কোন দোষ নেই।

মোঃ জসীম উদ্দীন,বেনাপোল প্রতিনিধি: