যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর অভিযান শুরু

ই-বার্তা ডেস্ক।।  যুক্তরাষ্ট্রে রোববার থেকে বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দশ শহর থেকে অভিবাসী তাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।     

শহরগুলো হচ্ছে- ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, হিউস্টন, আটলান্টা, বাল্টিমোর, ডেনভার, মায়ামি ও সান ফ্রান্সিসকো।

এ ১০ শহরের পাঁচ থেকে সাত হাজার অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে শহরের মেয়র, আইনজীবী, বিরোধী দল, স্থানীয় প্রশাসন- সবাই। 

শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ‘এদের ধরে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হবে আর অপরাধী হলে জেলে ঢোকানো হবে। আমরা সেসব লোকজনকে খুঁজছি, যারা আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়েছে আর ফেরত যায়নি।’

জানা গেছে, যেসব অভিবাসীর অব্যাহত অবস্থানের বিরুদ্ধে আদালত এরই মধ্যে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান। আদালত থেকে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নিজ দেশে না ফিরলে মার্কিন আইনে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক বিভাগের (আইসিই) অভিবাসন পুলিশের এ অভিযানে অভিবাসীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। দি ইমিগ্রেশন হাবের ডেপুটি পরিচালক সার্গিও গঞ্জালেস বলেন, দশটি শহরের পাঁচ থেকে সাত হাজার অভিবাসীকে আটকের টার্গেট রয়েছে আইসিই’র। নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাসিও বলেন, সময়ের আগেই আমাদের শহরে মার্কিন প্রশাসনের অভিযান শুরু হয়েছে।

এদিকে এ অভিযানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিরোধী দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও এ বিক্ষোভে যোগ দেন। আটলান্টার মেয়র কেইশা ল্যান্স বোটমস বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসী মানেই তারা অপরাধী নন। এ অভিযান সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।’

তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে মিয়ামির মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজ বলেন, ‘আমাকে এ অভিযানের ব্যাপারে আগে জানানো হয়নি। মিয়ামির নাগরিক সবাই শান্তিতে আছেন। এ অভিযানের কারণে সেই শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জনসমীক্ষা ব্যুরোর তথ্যানুসারে, দেশটিতে বিদেশি বংশোদ্ভূত প্রতি চারজনের একজন অবৈধ। অর্থাৎ মোট অভিবাসীর মধ্যে ২৩ শতাংশই অবৈধ।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু