যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাননি ডাকসু নেত্রী তানহা

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)র মোট ২৫৯ জন প্রতিনিধি প্রধামন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে ৪টি মিনিবাস আর ৬টি বাসে শনিবার (১৬ মার্চ) গণভবনে যান।

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনের ফল কারচুপির অভিযোগে ডাকসুর ফল বাতিল চেয়েই গণভবণে যাননি লামিয়া তানজিন তানহা।

এই বিষয়ে তানহা বলেন, ‘নির্বাচনে যখন কারচুপি হলো তখনই আমরা সবাই প্যানেল থেকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। তারপর ফলাফল ঘোষণার পর আবার যখন দেখলাম আমি জয়ী হয়েছি তখন আমি এই ফলাফল আর গ্রহণ করতে পারি না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি তার ভোট দিতে না পারে সেটাও ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশাল অন্যায়। সেজন্য আমি প্রথমে নির্বাচন বর্জন করেছি, পরে পদত্যাগ করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি না’।

ডাকসু নির্বাচনে সুফিয়া কামাল হলে সদস্য পদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছেন ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া তানজিন তানহা। সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করলেও মোট ৮৪১ ভোট পেয়ে নিজের হল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের প্যানেল ছাড়া বাকি সব প্যানেল তা বর্জনের ঘোষণা দেয়। নির্বাচন বর্জন করলেও ভিপি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর এবং জিএস পদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নির্বাচিত হয়েছেন। ডাকসুর বাকি ২৫ পদের মধ্যে দুইটি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই নেতা এবং ২৩টি পদে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।

ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল