যে তিন কারণে নিষিদ্ধ হলেন সাকিব

ই-বার্তা ডেস্ক।। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও প্রতিবার তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাননি। আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী কোডের তিনটি আইন লঙ্ঘন করায় সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও সাকিব দোষ স্বীকার করায় শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। সেই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।

সাকিবের আল হাসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট-

১/ আকসু তাদের বিধি-বিধানের ২.৪.৪ এর ধারায় সাকিবের বিরুদ্ধে প্রথম যে অভিযোগটি এনেছে সেটা এমন: ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের তিন জাতি ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তিনি জুয়াড়িদের কাছ থেকে আসা সেই প্রস্তাবের বিষয়ে আইসিসিকে অবগত করেননি।

২/ এই অভিযোগের ধারাও সেই একই ২.৪.৪। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তিনজাতি সেই সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিষয়েও তিনি আইসিসি বা আকসু কাউকেই কিছু জানাননি।

৩/ এই অভিযোগও সেই একই ধারায় ২.৪.৪। ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস এলেভেনের ম্যাচেও জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। এই প্রস্তাবের ব্যাপারেও তিনি আইসিসিকে কিছুই জানাননি।