রাগ মানব চরিত্রের এক দুর্বল দিক

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   রাগ মানব চরিত্রের এক দুর্বল দিক।  ইসলামে রাগ প্রসঙ্গে রয়েছে কার্যকর নির্দেশনা।


কুরআনে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করার সময় বলা হয়েছে, ‘যারা রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে, মানুষকে ক্ষমা করে।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৩৪

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, রাগ করো না। তিনি কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করলেন। রাসূল (সা.) বললেন, রাগ করো না।’ –সহিহ বোখারি শরিফ।
বর্ণিত হাদিসে আলোকে এতে বুঝা যায়- রাগ নয়, বরং ক্ষমা করার মাহাত্ম্যই হলো- ইসলাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের টানা দশ বছরের খাদেম হজরত আনাস (রা.) স্বীকৃতি দিয়েছেন, ‘তিনি (নবী করিম) কখনও না করা কাজের ব্যাপারে বলেননি- এটা কেন করোনি। আর করা কাজের ব্যাপারে কখনও বলেননি- এটা কেন করেছো!’ –সুনানে তিরমিজি।
এ আলোচনা দ্বারা খুব সহজেই বলা যায়- রাগ না করা উত্তম চরিত্রের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার তকদির সম্পর্কে পরস্পরে আলোচনা করছিলাম, সে সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কামরা থেকে বের হলেন। তার চেহারা এমন রক্তাক্ত হয়েছিলো, যেন ডালিমের দানা নিংড়ে দেওয়া হয়েছে। রাগান্বিত স্বরে বললেন, তোমাদের আদিষ্ট বিষয় কি এটা? নাকি এ নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি? তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ নিয়ে মতভেদের কারণে ধ্বংস হয়েছে। আমি তোমাদের দৃঢ়ভাবে বলছি- দ্বন্দ্বে লিপ্ত হবে না।’ –তিরমিজি।
হাদিসসমূহ থেকে বুঝা যায়, মানবতা ও দ্বীনের স্বার্থে রাগান্বিত হওয়া ঈমানের অংশবিশেষ। অন্যায় ও দ্বীনহীনতা দেখেও যে রাগান্বিত হয় না, সে রাসূলের আদর্শের ওপর নেই।
তবে শিক্ষণীয় বিষয় হলো, রাগের সময়ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি এমন কথাই বলেছেন, যা সুন্দর পথের নির্দেশনা দেয়। তেমনি আমাদেরও রাগের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা টেনে দেওয়া দরকার। অনিয়ন্ত্রিত রাগ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না।

 

 ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া