রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সি আর দত্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর (চিত্তরঞ্জন) দত্ত বীর উত্তমের শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগের শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী শ্মশানঘাটে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গান স্যালুটের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়।

সকাল ৮টার দিকে মহাখালী ডিওএইচএসে সি আর দত্তকে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপিসহ বনানী ও মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার মানুষ।

পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সি আর দত্তের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। সেখানে সেনাবাহিনীর একটি দল সামরিক সম্মান জানানোর জন্য গান স্যালুট দেয়।

সেখানে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে সি আর দত্তকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বেলা ১১টা পর্যন্ত সি আর দত্তের মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে রাখা হয়। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হয় সবুজবাগের শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমন্দিরে।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রথমে পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা। এরপর তার সম্মানে সামরিক কায়দায় ১৫টি ফাঁকা গুলি (হলি ফায়ার) ছোড়া হয়।

এ সময় এই বীর উত্তমকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী, সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে মেজর জেনারেল মো. মুশফেকুর রহমান এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলাম।

সবশেষে বিউগলের করুণ সুরে সি আর দত্তকে রাষ্ট্রীয় সালাম জ্ঞাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর শ্মশানঘাটে তা শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

গত ২৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে মারা যান সি আর দত্ত । তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। সাবেক বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআররের (বর্তমান বিজিবি) মহাপরিচালকও ছিলেন তিনি। সি আর দত্ত আমৃত্যু বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন।