রাসায়নিকের গুদাম রাজধানীর কদমতলী ও টঙ্গীর দুটি জায়গায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  পুরান ঢাকার রাসায়নিকের গুদাম আপাতত রাজধানীর কদমতলী ও টঙ্গীর দুটি জায়গায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিমতলী ও চকবাজার ট্র্যাজেডির পর গতকাল বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

 এদিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পুরান ঢাকা থেকে সব রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরিয়ে ফেলতে অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে জাতীয় টাস্কফোর্সের। গত সোমববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভা শেষে বলা হয়েছিল, আগামী মার্চের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে সব রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরিয়ে ফেলতে হবে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযান পরিচালনা করবে জাতীয় টাস্কফোর্স। এ অভিযানে কোনো ভবনে দাহ্য পদার্থের কোনো কারখানা বা গুদাম পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ভবনের সব সেবা-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

বুধবারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে কাঠালদিয়া মৌজায় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের ৬ একর এবং কদমতলীর শ্যামপুর মৌজায় বিসিআইসির ৬ দশমিক ১৭ একর জমি রয়েছে। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল সাময়িক সময়ের জন্য ওই দুই স্থানে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর বাইরে সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরির কাছে এ ধরনের গুদাম সরানোর জন্য জমি রয়েছে বলে জানান সচিব। আবারও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যতটুকু জায়গা প্রয়োজন হয়, তা আমরা পেয়ে যাব।

টঙ্গী ও কদমতলীর ওই দুই জায়গায় চার লাখ বর্গফুট আয়তনের স্থাপনা তৈরি করা যাবে জানিয়ে সচিব বলেন, দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। শ্যামপুর মৌজার উজালার ম্যাচ ফ্যাক্টরির কাছে দুটি গুদামও রয়েছে, সামান্য মেরামত করলেই সেখানে নিয়ে যেতে পারব। স্থানান্তর শুরু করব ধারাবাহিকভাবে। আরও কিছু অবকাঠামো তৈরি করে ১৫ দিনেও সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সব রাসায়নিক স্থানান্তরের জন্য কত জায়গার প্রয়োজন, বৈঠকে তা জানতে চান সচিব।

তখন শুধু এসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপাতত পাঁচ হাজার বর্গফুট হলেই তাদের চলবে। তবে বাকি দুটি সংগঠনের নেতারা সময় নিয়ে হিসাব করে প্রয়োজনীয় স্থানের পরিমাণ জানাতে চান। ব্যবসায়ীদের বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তা জানাতে বলেন সচিব।

সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুর রহমান পরাগ ও বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ উপস্থিত ছিলেন।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া