রাহুলের পদত্যাগ ঠেকাতে দিল্লিতে যাচ্ছে নবীন নেতারা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ফল ঘোষণার পরেই হারের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন রাহুল গান্ধী।  কিছু সূত্রে তাঁর ইস্তফার সম্ভাবনা নিয়ে খবর ছড়াতেই দলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।  কাল ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতির পদত্যাগ টেকাতে দিল্লিতে আসতে শুরু করেছে নবীন নেতারা। 

তাঁরা চান, রাহুল যাতে কোনও ভাবেই  ইস্তফা না দেন।  কারণ, তাঁরা মনে করছেন, রাহুল জেদ ধরে থাকলে ইস্তফা দিয়েই দেবেন। 

দলে শীর্ষ পদের প্রত্যাশী যে নেই, তা নয়।  রাহুল জমানায় ‘উপেক্ষিত’ নেতারা এখন সুযোগ বুঝে খড়গহস্ত তাঁর উপরে।  আজ দুপুরে এআইসিসি দফতরে এসে ঘুরে যান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।  তিনি ঘাঁটি গেড়েছেন দিল্লিতেই।  ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে গহলৌতও পদ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।  কংগ্রেসের এক নেতা বললেন, ‘‘যে গহলৌত নিজের রাজ্যেই গো-হারা হেরে বসে আছেন, তাঁকে কেন পুরস্কৃত করা হবে?’’ গহলৌত নিজে অবশ্য টুইটারে লিখেছেন, ‘‘…সভাপতির ইস্তফার প্রসঙ্গ ভিত্তিহীন ও অপ্রাসঙ্গিক।  এটা আমরা কখনওই ভুলব না, রাহুল গাঁধীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও লড়াকু মেজাজের কারণেই এনডিএ-কে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল কংগ্রেস।’’ 

প্রবীণ নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, নিজের আশপাশে রাহুল যাঁদের রেখেছেন, তাঁরাই ভুল পরামর্শ দিয়েছেন।  এই সব ফাঁক ভরাট করে নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে হবে।

এক প্রবীণ নেতা মনে করিয়ে দেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধীও রায়বরেলী কেন্দ্র থেকে রাজ নারায়ণের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে।  সে বারেও হারের ব্যবধান ছিল ৫৫ হাজারের।  এ বারেও অমেঠীতে রাহুলের হারের ব্যবধান এতটাই।  কংগ্রেস অনেক ওঠাপড়া দেখেছে।  আবার মাথা তুলে দাড়িয়েছে।  এটা এমন নতুন কিছু ঘটনা নয়।’’ 

আর রাহুল-পন্থীরা বলছেন, ‘‘আগামিকালের বৈঠকেও ইস্তফার ঢল নামবে।  কিন্তু রাহুল ইস্তফা দিলেও তা গ্রহণ করার সাহস কে দেখাবে?’’

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু