রিজার্ভ চুরির অর্থের হদিস জানা আছেঃ গভর্নর

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যে মামলা হয়েছে, তাতে তিন বছর আগে রিজার্ভ চুরির আলোচিত ওই ঘটনায় জড়িতদেরই আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউ অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট মিলানায়তনে এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এসব ডলার ফিলিপিন্সের কোথায় আছে আমাদের জানা আছে। ফিলিপিন্সের বিভিন্ন জায়গায় আছে।  সেগুলোতে তাদের সবাইকে রেসপন্ডেন্ট করে এ মামলা করা হয়েছে।  যারা এটার সাথে জড়িত ছিল এবং যারা বেনিফিটেড হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।”

 

ফজলে কবির বলেন, “ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক আমাদের সাথে এগ্রিমেন্ট করেছে মামলার প্রথম থেকে শুরু করে প্রতিটা ডলার উদ্ধার পর্যন্ত তারা আমাদের সাথেই থাকবে।”

কতদিনের মধ্যে এ মামলার সমাপ্তি হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখন বলতে পারছি না।  তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হতে পারে। তবে নিউ ইয়র্ক কোর্ট যেখানে এ মামলা করা হয়েছে, এখানে সাধারণত জলদি হয়।ফিলিপিন্সে অনেক বিলম্ব হত।  ওখানে অনেক দীর্ঘসূত্রতা আছে।  নিউ ইয়র্কে অনেক সুবিধা।  আমরা আশা করছি খুব বেশি সময় লাগবে না।”

বাংলাদেশের মামলাকে ভিত্তিহীন বলে আরসিবিসি কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের বিষয়ে ফজলে কবির বলেন, “আরসিবিসি এটা বললেও বুঝতে হবে যে আরসিবিসির ওখানে সমস্ত টাকা গিয়েছিল।  অর্থাৎ ৮১ মিলিয়ন ডলার আরসিবিসিতেই গিয়েছিল এবং সেটি চারটা ফেইক অ্যাকাউন্টেই গিয়েছিল, যে অ্যাকাউন্টগুলো বৈধ না।  এ কাজের জন্য আরসিবিসিকে ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের রেকর্ড সর্বোচ্চ পানিশমেন্ট দিয়েছে।  তাদেরকে সাজা দিয়েছিল এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) পেসো, অর্থাৎ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  এটা সঠিক ছিল না, এটা লন্ডার্ড মানি ছিল।  এই কারণে তাদের শাস্তি দিয়েছিল।  কাজেই আরসিবিসি এটা বললেই তো হয় না।”

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইবিএমের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও বিআইবিএম সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী। 

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু