রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন খালেদ, শামীম, ফিরোজ

ই-বার্তা ডেস্ক।।  মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জিকে শামীম ও কৃষক লীগ নেতা কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ।  

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যুবলীগ নেতা খালেদ ও জিকে শামীম রিমান্ডের প্রথম দিন নিজেদেরকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করার চেষ্টা করেছিলেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণ তাদের সামনে উপস্থাপন করা হলে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেন। ঐ দুই নেতা জানিয়েছেন, তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন প্রভাবশালী নেতারা। 

মামলা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ওরা যাদের নাম বলেছেন, তাদের নাম দেখে তারা নিজেরাই বিস্মিত হয়েছেন। সবার কাছে এসব নেতাদের একটা ক্লিন ইমেজ আছে। অথচ এরাই খালেদ ও শামীমকে পরেক্ষাভাবে সহায়তা করেছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন মোটা অংকের টাকা। ঐ কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে ক্যাসিনো এবং চাঁদাবাজি যারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাদের অনেক নামই গ্রেফতারকৃতরা প্রকাশ করেছেন। 

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, শফিকুল আলম ফিরোজ থানায় রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

তিনি জানান, কলাবাগান ক্লাবের রামির টেবিল চালাতেন সাদেক নামে একজন। তাকে সহযোগিতা করতেন সাজু। এক পর্যায়ে তার কাছে সাদেকের ঠিকানা চাওয়া হয়। এসময় ফিরোজ জানান, সাদেক ধানমন্ডি থাকেন। তবে বাসার ঠিকানা তিনি জানেন না।

গুলশান থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় গত বুধবার পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডে নেয় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। অপরদিকে গত শনিবার জি কে শামীমকে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই দিন ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় পুলিশ ১০ রিমান্ডে নিয়েছে কৃষক লীগ নেতা ও কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে।

এদিকে কড়া নজরদারিতে আছেন যুবলীগ নেতা সম্রাট। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু