রেলওয়ে থানায় নারী ধর্ষণ, ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  খুলনা রেলওয়ে থানায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ওই থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উছমান গনি পাঠান সহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে।   

সোমবার দুপুরে ‘ভুক্তভোগী’ ওই নারী খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 

এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর খুলনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত-৩-এর নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে ওই ওসি ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলাও করেন ‘ভুক্তভোগী’ নারী। তখন তিনি কারাগারে ছিলেন। মামলার নথির সঙ্গে আদালতের দেওয়া ওই নারীর জবানবন্দিও সংযুক্ত করা হয়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার এজাহারে বাদী সেদিন তাঁর ওপর হওয়া ধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান বাদীর আরজি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন তিনি।

গত ২ আগস্ট বেনাপোল থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন থেকে ওই নারীকে আটক করে খুলনা জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর থানা হেফাজতে থাকার পর সকালের দিকে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পাঁচ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলা দেওয়া হয়। এ সময় ওই নারী তার স্বজনদের জানান, থানায় থাকার সময় রাতে তাকে ওসিসহ পাঁচজন ধর্ষণ করেছেন।

ওই নারীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৪ আগস্ট তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ওই দিনই তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ওসি ও তখনকার ডিউটি অফিসার এসআই নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়। তাদের ওই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পাকশী রেলওয়ে জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। মাদক মামলায় গত ২৮ আগস্ট ওই নারী জামিন পান।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু