রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা ঝুঁকিতে রয়েছে: টিআইবি

ই- বার্তা ডেস্ক।। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় স্থানীয় জনগণ বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সুশাসনের দিকে উত্তরণ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের গবেষণার তথ্য উপাত্ত থেকে প্রমাণিত হয়েছে, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশজনিত ঝুঁকি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সুশাসনের দিকে উত্তরণ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, কক্সবাজারের মোট জনসংখ্যার ৬৩.২ শতাংশ রোহিঙ্গা এবং ৩৪.৮ শতাংশ বাংলাদেশি। যা সামাজিক ঝুঁকি বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণ। খবর ইউএনবির। টিআইবি’র গবেষণার ফলাফলে আরও উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গারা স্বল্প পারিশ্রমিকে কাজ করছে বলে স্থানীয় কর্মীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ কম পাচ্ছে।

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, কক্সবাজারে সামাজিক অবক্ষয়ের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান, নারীপাচার ও পতিতাবৃত্তি বাড়ছে। বর্তমানে কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।