রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ দিতে চাপ সৃষ্টি

ই-বার্তা।।  আশ্রিত রোহিঙ্গাদের এ দেশে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে অগ্রাধিকার দিতে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো।  গত শুক্রবার জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য এ বছরের তহবিল ঘোষণার অনুষ্ঠান ঘিরে ওই আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন। 

কানাডা সরকারের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত বব রে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি তুলেছিলেন।  সেই অনুষ্ঠানেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এর বিরোধিতা করেন। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি অ্যালেক্স নেভি ও সাদ হামাদি গত বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালেও এ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন।  আলেক্স নেভি এক টুইট বার্তায় রোহিঙ্গাদের পড়ালেখা ও কাজের সুযোগের পাশাপাশি অবাধ বিচরণের কথা বলেন।  অক্সফাম গত সোমবার তার ওয়েবসাইটে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনকে নিয়ে এক যৌথ বিবৃতি বলে, রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। 

ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা র‌্যাচেল ওল্ফ বলেন, ‘শিক্ষা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি মানবাধিকার।  রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের অভিভাবকরা আমাদের বলেছেন যে শিক্ষাই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর দীপঙ্কর দত্ত বলেন, বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হলেই রোহিঙ্গা কন্যাশিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।  বাংলাদেশ সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোর উচিত রোহিঙ্গা শিবিরে নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ করে দেওয়া। 

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু