লোকসভা নির্বাচনে অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ, নিহত ২
ই-বার্তা ডেস্ক।। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় আজ রোববার ভোট গ্রহণ শুরু হতে না হতেই ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ।
কেন্দ্রগুলো হলো তমলুক, কাথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। এই আটটি কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৯ জন। মোট ৮৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিন সকালে ভোট শুরু হতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে লোকসভা কেন্দ্রের কেশপুরে। বিজেপি এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পেয়েই সেখানে যান ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা সাবেক আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ। সে সময় তৃণমূলের নারী সমর্থকরা তাঁকে বাধা দেন। পুলিশের সামনেই ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। মাটিতে পড়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। তৃণমূল বলছে, কেশপুরে কোনো বিজেপি নেই। তাই বুথে বিজেপির কোনো এজেন্ট বসতে দেওয়া হবে না।
সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার নারায়ণগড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় পাতলিতে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসেও হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত হন তিন তৃণমূলকর্মী।
অন্যদিকে, ভোটের আগের রাতেই এক বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। নিহত বিজেপি কর্মীর নাম রামিন শিং। তিনি স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি ভোটের আগের রাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাথিতে উদ্ধার হলো এক তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম সুধাকর মাইতি।
একই সঙ্গে ভোটের আগের দিন রোববার রাতে তমলুকের ভগবানপুরে গুলিবিদ্ধ হলেন দুই বিজেপি কর্মী। আহত বিজেপি কর্মীদের নাম ইনন্ত গুছাইত ও রণজিত মাইতি। তাদের হাতে ও বুকে গুলি লেগেছে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু