শর্ত পূরণের পরও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না জিএসপি সুবিধা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  স্থগিতের পর ৬ বছর ধরে ঝুলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি (রফতানিতে অগ্রাধিকার খাত) সুবিধা।  ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই সুবিধা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ।  ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশটি দেওয়া সব শর্ত পুরণ করা হলেও তারা জিএসপি সুবিধা দিচ্ছেন।  

এ ক্ষেত্রে শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।  সেখানে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল।  জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘তারা এ ব্যাপারে একটি লিখিত বার্তা দেবেন।  তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতায় ১১ হাজার শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে বলে এ বৈঠকে অভিযোগ করেন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।’ 

এদিকে অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের  বলেন, জিএসপি ফিরে পাওয়ার দাবি করতে হবে। কিন্তু এতে খুব বেশি লাভ হবে বলে মনে হয় না।  কারণ কারখানার মানোন্নয়ন নিয়ে তারা বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড এবং উত্তর আমেরিকা ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্সের রিপোর্টের ওপর নির্ভরশীল। 

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের ২৪৩টি পণ্যের জিএসপি সুবিধা ছিল।  কিন্তু ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে।  এর জের ধরে ওই বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জিএসপি স্থগিত করে। 

জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।  আর এই শর্তগুলো পূরণ হলে ৬ মাস পর বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলে বলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।  কিন্তু ২০১৩-২০১৯ পর্যন্ত ৬ বছর চললেও তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।  উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মোট ১২২টি দেশের জিএসপি সুবিধা নবায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র।  কিন্তু বাংলাদেশ ও রাশিয়াকে জিএসপি সুবিধা দেয়া হয়নি।

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু