শাকিবের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন অপু

ই- বার্তা।।  গেলো  বছর থেকেই বেশ সরগরম চলচ্চিত্র পাড়া শাকিব-অপু ইস্যু নিয়ে। তাদের বিচ্ছেদের বিষয় নিয়ে চলছিলো বেশ আলোচনা। অবশেষে সেই আলোচনার অবসান হলো। শাকিব খানের ডির্ভোসের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন অপু বিশ্বাস।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন শাকিব-অপুর বিষয়টি সুরাহার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো ১২ ফেব্রুয়ারি ডেকে পাঠিয়েছিলেন শাকিব ও অপু বিশ্বাসকে। তবে তাদের কেউই এবার উপস্থিত ছিলেন না।

শাকিব খান বর্তমানে শুটিং এর কাজে ব্যস্ত আছেন অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দেন যে তিনি আর অপু সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক রাখতে চান না।

অপু বিশ্বাসের কথা হলে তিনি বলেন, ‘শাকিব যা ভালো মনে করেছে, সেই সিদ্বান্তই গ্রহণ করেছে। তার তো স্বাধীনভাবে সিদ্বান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। যেহতু শাকিব তার সিধান্ত নিয়েই নিয়েছেন তাহলে তো আর সালিশে আমার যাবার প্রয়োজন নেই’।

শাকিব খান তার সন্তান আব্রামের জন্য কোন টাকা পয়সা দিচ্ছেন না উল্লেখ করে অপু বলেন, ‘ দুই দিন আগে একটি গণমাধ্যমে দেখলাম শাকিব নাকি প্রতি মাসে আব্রামের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে। বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা।’

এদিকে শাকিব খানকে মিথ্যচার বন্ধ করে বলে অপু বলেন, ‘কিছুদিন আগে শাকিব খান বলেছিল যে আমি নাকি বাচ্চাটাকে দেখতে দেইনি এবং সে আমাকে কল করেছিলে কিন্তু আমি ধরিনি। বিষয়টি মিথ্যা। শাকিব নিঃসন্দেহে এক জন ভালো বাবা। তবে শাকিব এখন তার ক্যারিয়ারের জন্য যা করছে তা ঠিক নয়।

ক্যারিয়ারের জন্য বাচ্চার ইমোশন পাবলিকলি উপস্থাপন কথা উচিত নয়।’ একমাত্র সন্তান আব্রামকে নিয়ে অপু বলেন, ‘আব্রামকে পৃথিবীতে আনাতে আমার অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। আব্রাম যখন আমার পেটে তখন আমাকে শাকিব অনেক বিধি নিষেধ দিয়ে ছিলো। বলে ছিলো আব্রাম পৃথিবীতে আসালে সেই দিনই আমাদের সম্পর্কের ইতি হবে। তাই হচ্ছে। কিন্তু আমি তো মা, আমি শাকিবের কথা মানতে পারিনি। তিন মাস ধরে বাবার মুখ দেখেনি আব্রাম। অনেক চড়াই উৎরাই এরপর আব্রাম আজ পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেছে। আর তাই জয়ই এখন আমার সব। ওর জন্যেই এখান আবার আমার নতুন করে লড়াই করতে হবে।’

ফের চলচ্চিত্রে ফের নিয়ে অপু বলেন, ‘কাজই জীবন। ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করিনি বা এখন সম্ভব না ব্যাংকে চাকরি করা। অভিনয় আমার ভালোবাসা। আর তাই অভিনয় দিয়েই আবারো সামনে এগিয়ে যেতে চাই। মোট কথা কাজের বিকল্প নাই।’

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সূত্রে জানা গেছে, কোনো পক্ষ তালাকের আবেদন করলে আদালতের কাজ হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে উভয়কে তিনবার ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা। সে হিসেবে প্রথম তারিখ ছিল ১৫ জানুয়ারি। এরপর সালিশের নতুন তারিখ ধার্য করা হয় ১২ ফেব্রুয়ারি।

গত ১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় দুই পক্ষকেই ডিএনসিসি অঞ্চল-৩-এর অধীন মহাখালী কার্যালয়ে থাকতে বলা হয়েছিল। সেদিন অপু উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না শাকিব খান। তবে শাকিবের পক্ষ থেকে তার আইনজিবী জানান শাকিব খান তার সিদ্ধান্তে অটল।এবারের সালিশে শাকিব-অপু  কেউই উপস্থিত ছিলনা।

উল্লেখ্য, ‘ ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন অপু। সেই বছর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই জুটি একাধারে ৭০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এক সময় প্রেমের সম্পর্ক হয় তাদের। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন এই জুটি।

ই- বার্তা/ এ এস