শাবি ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী বহিষ্কার

ই-বার্তা ডেস্ক।। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) নিজ দলের কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক ছাত্রলীগকে নেতা স্থায়ী বহিষ্কার ও সাত নেতাকে ১ সেমিস্টার বহিষ্কারসহ আর্থিক জরিমানা করা হয়। এছাড়া তিন হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ২১৪তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ শাহ পরান হলে শাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈমকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র ও শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ রাসেলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজীব সরকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনায় সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সাত জনকে সর্বনিম্ন তিন হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও রাজীব সরকারের উপর হামলার ঘটনায় শাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ মোস্তাকের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এক সেমিস্টার জন্য বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগ কার্যনির্বাহী সদস্য এম এ আরিফ, একই বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বারী সজীব, ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এপ্লায়েড সায়েন্সেস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সহ-সভাপতি মাহবুব আল আমিন শোভন, বাংলা বিভাগের ছাত্র ও বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাওসার আহমেদ সোহাগ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ও একই বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ রানা এবং ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. রিশাদ ঠাকুর।

যেসব শিক্ষার্থীর জরিমানা করা হয়েছে তাদের আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্য তা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় আরও এক সেমিস্টার বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা বোর্ড। এছাড়াও ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা-ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা যায়। গত ২৩ মার্চ হামলার পর রাজীবকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। রাজীবের মাথা ও পিঠে ৭০টির মতো সেলাই দিতে হয় তখন। হামলার পর গত ২৫ মার্চ জালালাবাদ থানায় রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে বহিষ্কৃতদের আসামি করে একটি মামলা করেন।