শিশুর ভবিষ্যতে ধূমপান ত্যাগ করুন

ডেস্ক রিপোর্ট।।  একজন ধূমপায়ী যখন ধূমপান করেন তখন তিনি শুধু তার নিজের একার ক্ষতি করছেন না বরং তার আশেপাশের মানুষদের ক্ষতিরও বড় কারন হয়ে দাঁড়ান। যদি আশেপাশে শিশুরা থাকে তবে এই ক্ষতির মাত্রাটা অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়।

 

শিশুরা খুব দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়। তাছাড়া, শিশুদের শ্বাসনালী আকারেও অনেকটা ছোট। ফলে বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় শিশুদের শ্বাসনালী আর ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছোটদের মধ্যে সর্দিকাশি, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। যে সব বাড়িতে এক বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে, তাঁদের আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ, মা, বাবা অথবা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ধূমপানের কুপ্রভাবে শিশুদের মধ্যে ‘অকাল মৃত্যু’র ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সব সন্তানসম্ভবা মহিলা ধূমপায়ী, তাঁদের ক্ষেত্রে শিশুমৃত্যুর ঘটনা অধূমপায়ীদের থেকে ৫৮% বেশি। একই ভাবে সন্তানসম্ভবার সামনে বা কাছে ধূমপান সদ্যজাতর ‘অকাল মৃত্যু’র আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন খুবই জরুরি।নিকোটিনের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে যাঁরা মোটামুটি অবগত, তাঁরা অনেক সময় শিশুর সামনে ধূমপান না করে বাড়ির বারান্দায়, ছাদে বা বাইরে গিয়ে ধূমপান সেরে আসেন। তার পর শিশুর কাছে যান বা তাকে কোলে নেন।

 

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলেও শিশুর শরীরে নিকোটিনের বিষ প্রবেশ করে। ধূমপানের পর জামাকাপড়ে ও ধূমপায়ীর শরীরে বিষাক্ত রাসায়ানিক থেকে যায় কমপক্ষে ঘণ্টা তিন-চারেক। তাই শিশুর থেকে দূরে গিয়ে ধূমপান করে এলেও ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের কথা ভেবে ধূমপান থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকুন।

 

 

 

ই-বার্তা।ডেস্ক