শুরু হলো প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড উন্নীতকরণের কার্যক্রম

ই-বার্তা ডেস্ক।।   ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নিয়ে নানা বৈষম্য রয়েছে। এসব নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক যে পদে যোগদান করে থাকেন, সেই পদে থেকেই অবসরে চলে যান। এ সব বিষয় বিবেচনা করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে যোগদানের পর সহকারী শিক্ষকদের ১২ গ্রেড ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ১১ গ্রেড, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিক সম্মতির পর আমরা শিক্ষকদের বেতন স্কেলে পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ শুরু করেছি।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘আমাদের দাবি প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেড। কিন্তু সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি হলে আমরা যখন ওই পদে পদোন্নতি পাব, তখন এমনিতেই আমরা ওই পদের স্কেলে বেতন পাব। তাহলে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য থেকেই যাবে। তাই আমরা এ মুহূর্তে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ চাই না। আমরা প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডে বেতন চাই।’

বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। এমনকি ৩৪তম বিসিএস থেকে যখন দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় তখন সবাই দশম গ্রেড পেলেও শুধু সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পেয়েছেন ১১তম গ্রেড। ফলে প্রধান শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন দশম গ্রেডে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পান ১৪তম গ্রেডে। ফলে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বেতনের পার্থক্য তিন ধাপ। কোনোভাবেই সেটি মেনে নিতে রাজি নন সহকারী শিক্ষকরা। তারা প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচে বেতন চান। এ নিয়ে একাধিকবার আন্দোলনও করেছেন সহকারী শিক্ষকরা।

ই-বার্তা/ মাহারুশ হাসান