শেখ হাসিনাকে ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড়’ গণসংবর্ধনা আজ
ই-বার্তা।। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে আজ।আজ শনিবার (২১ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। এই সংবর্ধনা ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড়’ হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সন্তান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-ও এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে সম্মতি জানিয়েছেন।এর আগে, গত ৭ জুলাই শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণার কথা জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে গত ১৯ জুন দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২১ জুলাই বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার অনুষ্ঠান হবে আজ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি পরিদর্শন এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বড় গণসংবর্ধনা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা, রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সংবর্ধনা জনতার সমুদ্রে পরিণত হবে। সারাদেশের সব শাখাকে আমরা আমন্ত্রণ করিনি। তারপরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতাকর্মী আসবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে সংবর্ধনা। এতে দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দনপত্র পাঠ ছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সংবর্ধনা উপলক্ষে এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেখানে এরই মধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্টল। এগুলোতে শেখ হাসিনার শৈশব থেকে বর্তমান পর্যন্ত চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে; রাখা হয়েছে শেখ হাসিনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ। শেখ হাসিনার লেখা বইগুলোও থাকছে একটি স্টলে। সন্ধ্যার পর সর্বস্তরের জনগণের জন্য চিত্র প্রদর্শনী ও বুক স্টল উন্মুক্ত থাকবে।এদিকে, জনসভাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসার বিভিন্ন সড়কের রোড ডিভাইডার, ওভারব্রিজগুলো শেখ হাসিনার রঙিন ছবি, অর্জন, সাফল্য সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্যান্ডেলের একদিকে ২০ হাজার, আরেকদিকে ১০ হাজারসহ মোট ৩০ হাজার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরেও গোটা উদ্যানজুড়ে কয়েক লাখ লোক সংবর্ধনায় অংশ নিতে পারবেন।