শেতাঙ্গ হামলা করলে গণহত্যা আর মুসলমানরা করলে সন্ত্রাসবাদ

ই-বার্তা ডেস্ক।।  নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নৃশংস হামলায় ঝড়ে গেছে ৪৯টি হাজা প্রাণ।আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮জন।  নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর শেতাঙ্গ বন্দুকধারীর এ হামলা স্মরণকালের ইতিহাসে বর্বরোচিত।  এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র।

হামলার নিন্দা জানিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী।তিনি নৃশংস এ হামলাকে পশ্চিমা গণামাধ্যম সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ না করতে চাওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটোসে ফারুকী লিখেছেন, ‘যখন একজন খ্রিস্টান #শ্বেতাঙ্গ অধিপত্যবাদী মসজিদে মানুষ হত্যা করে, তখন পশ্চিমা গণমাধ্যম সেটিকে ‘গণহত্যা’ বলে প্রচার করে। কিন্তু যখন কোনো মুসলিম হামলা করে এবং মানুষ হত্যা করে, তখন একে প্রচার করা হয় ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে।’

পশ্চিমা গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ফারুকী আরও লিখেন, ‘প্রিয় পশ্চিমা মিডিয়া, আপনারা কবে এই দুটি বিষয়কেই সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দেবেন? আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনাদের এই পক্ষপাতিত্ব বিশ্বব্যাপী ঘৃণা বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে?’

এর পর তিনি বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লিখেন, ‘দেখে ভালো লাগছে কিছু পশ্চিমা মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতারা একে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলতে শুরু করেছে। যদিও তা কয়েক ঘণ্টা পরে! আর দেরি না করা উত্তম।  অন্যদের তা অনুসরণ করা উচিত।’

এই সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা।  তারা মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে এক পথচারীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফিরে আসেন।  ফলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ক্রিকেটাররা।

ই-বার্তা/ আরমান হোসেন পার্থ