শেরপুরে হাসপাতালের বাথরুমে থেকে রোগীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ই- বার্তা ডেস্ক।।   শেরপুর জেলা হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত এক রোগীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত আব্দুল মালেক (৬৫) সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে ও ছয় সন্তানের জনক। তিনি পেশায় একজন আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন।

মূত্রথলির সমস্যা নিয়ে তিনি গত ২৬ অক্টোবর থেকে জেলা হাসপাতালের পুরুষ সার্জিকেল ওয়ার্ডের বি-১৩ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন।

হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার সাথেই ছিলেন স্ত্রী ফিরোজা বেগম। তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা থেকে তার স্বামী আব্দুল মালেক চারবার বাথরুমে যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ চলে গেলেও তিনি (আব্দুল মালেক) ফিরে না আসায় তাকে বাথরুমে খুঁজতে যান। সেসময় ভেন্টিলেটরের লোহার রডের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে হাসপাতালের অন্য রোগীর লোকজন ও নার্সরা তখন সেখানে দৌঁড়ে যান।

সংবাদ পেয়ে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত সেখানে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন এবং সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

জেলা হাসপাতালের আরএমও (আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা) ডা. খায়রুল কবীর সুমন জানান, নিহত ব্যক্তির চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানারোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর সকাল নয়টার দিকে মূত্রথলির জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার অবস্থা এখন ভালোর দিকে ছিল। এর আগে একবার তার আলসারের অপারেশনও হয়েছিলো। হাসপাতালের বাথরুমে ফাঁস লাগিয়ে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে আসি। পুলিশকে জানানোর পর তারা এসে লাশ উদ্ধার করেন।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলা হাসপাতালের বাথরুম থেকে নিহতের ফাঁস ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভোগার কারণে মানসিক যন্ত্রণা থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।