স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ

ই-বার্তা ডেস্ক।।  গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের সভায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম নুরুল আমিন মাস্টার এবং মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রেবেকা বেগম দুজনকেই দলীয়ভাবে মনোনীত করা হয়েছে।  তাদের ছাড়াও বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থিতা করছেন আরো পনেরজন প্রার্থী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আরো চারজন।  শুধু তা-ই নয়, দেশের প্রায় সব জেলাতেই এ রকম অবস্থা বিরাজ করছে।  এখন নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে অংশ নিলেও সব জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।  আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকায় ওই পদে আরো বেশিসংখ্যক নেতাকর্মী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  আর নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে মাঠপর্যায়ে দলীয় বিরোধও প্রকাশ্য হয়ে উঠছে।  বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড বেশ উদ্বিগ্ন।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন, লাখাই উপজেলায়, দুইজন, চুনারুঘাটে একজন, বাহুবলে দুইজন, নবীগঞ্জে একজন, আজমিরীগঞ্জে একজন, বানিয়াচংয়ে একজন ও মাধবপুরে একজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘উপজেলা নিয়ে তৃণমূলে ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে।  এত বড় দলে এইটুকু প্রতিযোগিতা তো থাকবেই।  আমরা মনে করি যারা প্রার্থী হয়েছে, তাদের সবাই চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য।  তবুও বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে মনোনয়ন বোর্ড।  বিষয়টি সবাইকে মানতে হবে।  শেষ পর্যন্ত মাঠ নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষেই কাজ করতে হবে।’

ই-বার্তা/আরমান হোসেন পার্থ