সব হত্যাকাণ্ডই সীমান্ত হত্যা নয়: বিজিবি মহাপরিচালক

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে ‘সীমান্ত ডাটা সেন্টার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশিদের বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটছে ভারতীয় সীমান্তের ১০-২০ কিলোমিটার ভেতরে। নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে বাংলাদেশের ১৫০ গজ ও ভারতের ১৫০ গজ এলাকায় হত্যা হলে সেটাকে সীমান্ত হত্যা বলা যাবে। অন্যথায় এগুলো হত্যাকাণ্ড।

তিনি আরো বলেন, তবে কোনো হত্যাকাণ্ডই গ্রহণযোগ্য নয়। বিজিবি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনীও আমাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্তে মাত্র একজন মারা গেছে এবং সেটা বেড়ে এখন আটজনে দাঁড়িয়েছে। সিলেট সীমান্তে খাসিয়ারা রয়েছে। বাংলাদেশিরা যখন অবৈধভাবে ঢুকছে তখন শুধু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরাই নয় খাসিয়ারাও তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করছে।

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘সামান্য কিছু টাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে। আবার কিছু মানুষের আত্মীয় স্বজন সীমান্তের ওপারে আছে, যারা ঐতিহাসিকভাবে যাওয়া আসা করে। যারা কোনো আত্মীয়ের অনুষ্ঠান বা বিশেষ কোনো প্রোগ্রামে অংশ নিতে চায়, তখন আমাদের বললেই সে ব্যবস্থা করে দেই। বিএসএফও সেটা অ্যালাউ করে। আমাদের মধ্যে সে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমাদের নাগরিকদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে।’

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা স্বত্ত্বেও কেন হত্যাকাণ্ড ঘটছে এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ওদের ব্যাটালিয়ন পরিবর্তন হয়। অন্য সীমান্ত থেকে এখানে এসে অনেকে তা অনেক সময় বুঝতে পারে না। তবে, সীমান্তের এসব সমস্যা সমাধানে তারা আন্তরিক রয়েছে।

উদ্বোধন করা সীমান্ত ডাটা সেন্টারের বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ২০১৬ সালে এ ডাটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। যা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। বিজিবির অভিযানিক এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে নিজস্ব ডাটা সেন্টার।

এর মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারীসহ যোগাযোগের জন্য বর্ডার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম, পেট্রোল ট্র্যাকার সিস্টেম, বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, বিজিবি মেইল সার্ভিস, অ্যাকটিভ ডাইরেক্টরিসহ সব অ্যাপ্লিকেশন কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এ ডাটা সেন্টারের ক্ষতি হলে কোনো ডাটা যেন নষ্ট না হয় সেজন্য আরো বড় একটি ডাটা রিকোভারি সাইট যশোরে স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া