সমীক্ষা ছাড়াই রুট পারমিট, থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও হয়ে গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী রুটে চলছে প্রায় ২০টি কোম্পানির এক হাজারের বেশি বাস-মিনিবাস।  অনুমতি আছে আরও কয়েকশ’ বাস ও মিনিবাস নামানোর।  অথচ সড়কের অনুপাতে বাসের সংখ্যার অনুপাতের কোনো সমীক্ষা কারও কাছে ।

জানা গেছে, সড়কে নৈরাজ্যের অন্যতম কারণ সমীক্ষা ছাড়াই রুট পারমিট দেয়া, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, চালকের মাদকাসক্তি ও অদক্ষ চালক, আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি।  এসব বন্ধে নেই তেমন কার্যকর উদ্যোগ।  ফলে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।  চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত এই ৩০ দিনেই ঝরে গেছে  ২৫৯ প্রাণ ।

সমীক্ষা ছাড়াই বাসের রুট পারমিট দেয়া সড়ক নৈরাজ্যের অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্ট রিচার্স ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. শামসুল হক।  তিনি আরো  বলেন, সমীক্ষা ছাড়া রুট পারমিট দেয়ায় সব উদ্যোগ শুরুতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই বাসের রুট পারমিট দেয়ার পর যত উদ্যোগ নেয়া হোক না কেন, নৈরাজ্য বন্ধ হবে না।

বিআরটিএর সচিব মো. আবদুস সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন।  অন্যান্য জেলায় ডিসি ও ইউএনওরা অপারেশন চালাচ্ছেন।  বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৩৮ লাখের বেশি গাড়ি আছে।  অপরদিকে লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা ২৪ লাখের কিছু বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কে নৈরাজ্যের আরেক বড় কারণ হচ্ছে আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব।  চালকরা অনিয়ম করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।  আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যদের প্রশ্রয়ে এসব চালক পার পেয়ে যায়।  তারা বলেন, সম্প্রতি প্রগতি সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে সু-প্রভাত কোম্পানির ১৬৬টি গাড়ি চলাচলের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে বিআরটিএ। এ দুর্ঘটনার কারণে ওই গাড়ি ও চালক গ্রেফতরা করা হয়েছে।  এখন বিচার শুরু হবে।

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ