সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

ই-বার্তা ডেস্ক।।  নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিজ বলেছেন, ‘অর্থ সব সময়ই সচল থাকতে চায়।  যত বেশি সচল হবে তত বেশি উৎপাদন হবে; অর্থনীতি বিস্তৃত হবে; উপকৃত হবে মানুষ।’ এ দর্শনের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে টাকা সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তাই উন্নত করা হচ্ছে বিনিয়োগের পরিবেশ; উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) প্রতিষ্ঠার।  ধারণা করা হচ্ছে, এসব জোনে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার, বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ কোটি টাকা।

জোনগুলোয় স্থাপন হবে শিল্প-কারখানা; পুঁজি বিনিয়োগের সুবাদে বাড়বে অর্থনৈতিক কর্মকা-। সঙ্গত কারণেই বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়বে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, উন্নততর হবে জীবনযাত্রার মান।  এক কথায়, ঘটবে অর্থনৈতিক বিপ্লব।

এসব অঞ্চল গড়ে উঠলে নিজ এলাকাতেই মিলবে কাজের সুযোগ।  প্রতিটি জোন হবে বিনিয়োগকারীদের সেবাপ্রাপ্তি ও পণ্য রপ্তানির হাব। হাতের কাছেই উৎপাদিত পণ্য বিক্রির বড় বাজার পাবেন স্থানীয়রা।  এসব জোনে থাকবে সব ধরনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগও। অর্থাৎ নাগরিক জীবনের সব ধরনের সুযোগ মিলবে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা গ্রামীণ এলাকায়ও।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সরাসরি এসবের বাস্তবায়ন কার্যক্রম তদারকি করছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়মিত তা অবহিত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ১০০টি ইকোনমিক জোনের নির্মাণকাজ শেষ হবে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৮৮টি জোনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  এর মধ্যে বেসরকারি ২৯টি। চূড়ান্ত সনদপত্র পেয়েছে ১০টি, প্রাক-সনদপত্র পেয়েছে ১০টি। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ আকর্ষণে ৫ থেকে ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে বা কর ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  পাশাপাশি অঞ্চলভেদে থাকছে বিশেষ ছাড়ও।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে জানানো হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাইটেক পার্কে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদানে পরিচালিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে উদ্ভূত সব আয়ে প্রদেয় আয়করে প্রথম তিন বছর শতভাগ অব্যাহতি দেওয়া হবে। 

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ