সরকারের ষড়যন্ত্রে ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ: খন্দকার মোশাররফ

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জাতীয়বাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ হওয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন ।

আজ শুক্রবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে রাজনীতি করতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা দলকে পুনর্গঠনের জন্য দলকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুসংগঠিত করছি। এজন্য যে কাউন্সিল করা দরকার সেই কাউন্সিল করতে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। আমরা আমাদের দলে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করতে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টাকেও আজকে সরকার নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। আপনারা দেখেছেন, ১৪সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। সেটাও বন্ধ করতে কোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের মা আখ্যায়িত মোশাররফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মা, মাদার অব ডেমোক্রেসি।

তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। খালেদা জিয়া স্বৈরাচারকে হটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই জন্য আজকে যারা ক্ষমতায় তারা গণতন্ত্রের বিষয়ে ভীতু। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেজন্য ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি হয়ে গেছে।

একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করার জন্য আমাদের নেত্রীকে জেলে নিয়ে রেখেছে। নেত্রীর কথা মতো আমরা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সেই নির্বাচনে ৮০ ভাগ লোক ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। তখনই ২৯ ডিসেম্বর রাতে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গেল। গণতন্ত্রে পক্ষে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ বার বার প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। আজকে প্রধান বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্র; আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ন আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।