সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী

ই-বার্তা ডেস্ক।।  সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি কেবল  আইন প্রয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে ডাউনলিংককৃত বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে সোমবার পরিবেশক সংস্থা ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড এবং জাদু ভিশন লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।

তবে নোটিশ দেওয়ার পর রাত থেকে ভারতের জি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে না।

চ্যানেল দু’টি নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। সরকার প্রচলিত আইন প্রয়োগ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান মতে বাংলাদেশে বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যায় না। শুধু দেশীয় বিজ্ঞাপন নয়, কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো যায় না।

একই ধরনের আইন ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সে সব দেশে এ আইন মানা হয়।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যারা টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক তারা জানেন, আপনাদের টেলিভিশন চ্যানেল যখন ইউকে প্রদর্শন করা হয় তখন এখানে যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখান, সেগুলো সেখানে দেখানো যায় না। সেখানে সেই দেশের বিজ্ঞাপন দেখানো যায়।

তিনি বলেন, ভারতে এবং অন্যান্য দেশে যখন টেলিভিশন চ্যানেল যখন প্রদর্শিত হয় তখন সেখানে বিদেশের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয় না। কন্টিনেন্টাল ইউরোপেও একই রকম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এ আইনটি মানা হচ্ছিলো না। আইনটি প্রয়োগ করা হয়নি। সেটি না করার কারণে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যে বিজ্ঞাপন পেতো সেগুলো চলে গেছে ভারতে।

পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী জানান, ইউনিলিভার বাংলাদেশে পাঁচ বছর আগে বিজ্ঞাপনখাতে বাংলাদেশে ১৫ কোটি টাকা খরচ করতো। যেটি পাঁচ বছর পরে ২০ কোটি হওয়ার কথা ছিল, সেটি কমে পাঁচ কোটিতে গেছে।

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ