সরকার মিয়ানমারের ফাঁদে পড়েছে: মির্জা ফখরুল

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার মিয়ানমারের ফাঁদে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

 আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।এ

ফখরুল বলেন, কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে হচ্ছে তিনি খুব বিব্রত, কিছুটা বলা যেতে পারে ভারসাম্যহীন অবস্থা হয়ে গেছেন। তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যা নাকি আমরা করেছি…. কী বলবেন। হাসিও পায় তার কথা শুনে। এখন উনারা পারছেন না, দে আর ফেইলিং।

তিনি বলেন, আমরা পেরেছিলাম। ১৯৭৮ সালে এই রোহিঙ্গারা এসেছিল একইভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অতি অল্প সময়ের মধ্যে মিয়ানমারকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কেন পেরেছিলেন পাঠিয়ে দিতে সেই শক্তি তার ছিল। তিনি কক্সবাজারে কেন্টমেন্টই তৈরি করে ফেললেন ওই সময়ে, পুরো গ্যারিশন নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। বলছেন আইদার ইউ টেইক ব্যাক অর ইউ উইল ফেইস।

খালেদা জিয়ার শাসনামলের কথাও উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ১৯৯২ সালে একই ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার এসছিল সেই সময়ে রোহিঙ্গা। তিনি (খালেদা জিয়া) সরাসরি বললেন যে, তুমি (মিয়ানমার সরকার) কি ফেরত নেবে নাকি আমি অন্য ব্যবস্থা নেব। তারা (মিয়ানমার) ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আজকে এই সরকার মিয়ানমারকে একবারের জন্য বকাবকিও করে নাই খেয়াল করে দেখবেন। একটা স্টেটমেন্ট নাই যে, সেখানে বলেছে মিয়ানমার জেনোসাইড করেছে, মিয়ানমার এথনিক ক্লেনজিং করছে, হত্যা করছে, নির্যাতন করছে- বিবৃতির কোথাও দেখবেন না। বার বার করে তাদের বলেছে, ভাই নিয়ে যাও, নিয়ে যাও। এগ্রিমেন্ট সই করেছে, সেই এগ্রিমেন্ট সই করার মতো নয়। ওর মধ্যে কোনো কিছুই নাই, মিয়ানমার যা বলেছে তাই করতে হবে এবং তাই করছেও তারা। সরকার ওদের ট্র্যাপে (ফাঁদে) পড়ে গেছে।

তিনি বলেন, আজকে এমন কূটনৈতিক অবস্থা যে, একটা দেশও বাংলাদেশের পক্ষে নেই। চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়া- সব মিয়ানমারের পক্ষে। তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে কে? এতদিন ধরে দুই বছর ধরে কী করলেন? অথচ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুউচ্চ ভারত সঙ্গে, চীনের সঙ্গে। তাহলে বন্ধুরা কী করল? আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় তো জানেনই না এত বিরাট সমাবেশ কী করে হল? আর আরেকজন বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভারতের সঙ্গে। কী বলব বলেন? আমাদের কবি নজরুল ইসলামের কবিতার মতো বলতে হয়, আমরা ওই দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি তাই যা আসে কৈই মুখে সেই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।

জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, মো. নাসিম আহমেদ, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, কেন্দ্রীয় নেতা এহসানুল হক চৌধুরী, সানাউল হক, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।