সাইবার হামলার শিকার অনলাইন সংবাদমাধ্যম ই-বার্তা

ই-বার্তা।। দেশের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ই-বার্তা। সাহসী এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের শপথ নিয়ে ২০১৭ সালের ৭’ই ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু করে এই সংবাদমাধ্যমটি।

কিন্তু হটাত করে আমাদের এই দীর্ঘ পথ চলায় বিঘ্ন ঘটে, ২১-০৩-২০১৯ তারিখে সাইবার হামলার শিকার হয় ই-বার্তা। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হ্যাকাররা এই হামলা চালালেও ই-বার্তার শক্তিশালী আইটি বিভাগের সক্ষমতায় সফল হয়ে উঠতে পারেনি।

পত্রিকার অবকাঠামো ও সার্ভার ধ্বংস এবং তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছেন ই-বার্তার প্রকাশক জাহিন হাসান।

ই-বার্তা রিপোর্টার রেজওয়ানুল ইসলাম বাঁধন বলেন, আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। এ নিয়ে ডিবি অফিসের সাথে আমরা সার্বক্ষনিক যোগাযোগ স্থাপন করছি।

ই-বার্তা ওয়েবসাইটের হামলায় ব্যার্থ হয়ে হ্যাকাররা পরবর্তীতে ই-বার্তার এডমিন প্যানেলে থাকা এডমিন ও মডারেটর দের আইডিতে হামলা চালায়।

মুহুর্তের মদ্ধ্যে তারা ই-বার্তার এডমিন জাহিন হাসান, মডারেটর আহাদ সাগর, সালাউদ্দিন সাজু ও মাহারুশ হাসান সহ চারটি আইডির ডুপ্লিকেট আইডি করে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপপ্রচার চালানো শুরু করে দেয়। অন্যদিকে, হ্যাকাররা এই চারটি আইডির বিপরীতে ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করে, আপাতত এই চারটি আইডি ফেসবুক থেকে ডিজেবেল করা হয়েছে।

ই-বার্তার রিপোর্টার শাহাদাত ছৈয়াল বলেন, সাইবার অপরাধীরা ই-বার্তার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ই-মেইল ঠিকানা ও তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

ই-বার্তা টিমের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ফেসবুকের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এই চারটি আইডির সমস্ত লিগ্যাল ডকুমেন্ট তাদের কাছে প্রদান করা হয়েছে। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে এবং বিষয়টি তাদের অবাজারভেশনে রাখছেন। আমারা আশা করছি খুব শীঘ্রই ই-বার্তা টিম তাদের আইডি ফিরে পাবে।

ইতিমধ্যে ই-বার্তার প্রকাশক জাহিন হাসান পত্রিকার সুরক্ষার জন্য ঢাকার হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

প্রতিষ্ঠার মাত্র ২ বছরের মাথায় দ্বিতীয়বার সাইবার হামলার শিকার হল দেশের জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ই-বার্তা’ ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ মে প্রথম বারের মতো সাইবার আক্রমণের শিকার হয় ই-বার্তা।

ই-বার্তার ক্রীড়া সাংবাদিক আরমান হোসেন পার্থ বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে, এর ব্যাতিক্রম নয় অনলাইন পোর্টালগুলো সহ ফেসবুক আইডি, গ্রুপ কিংবা ফেসবুক পেজ।

প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে। এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীরা। সাইবার অপরাধের শিকার হওয়াদের ৪৪ শতাংশই মনে করেন,সাইবার অপরাধীদের তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি দেওয়া গেলে দেশে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। বাকিদের মধ্যে ২৯ শতাংশের পরামর্শ হলো আইনের প্রয়োগ বাড়ানো। ২৭ শতাংশ সচেতনতা গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা বলছেন, সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা দরকার। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

আর এ আইনের নাম হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)।

সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকিং শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত। মূলত ১৯৫০-১৯৬০ এর দশকে কম্পিউটারের কোডিং ভাংতে গিয়ে মজার ছলে কেচো খুরতে সাপ বেড়িয়ে পড়ে। পরের দশকেই কিছু নীতিহীন মানুষ অনৈতিক উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন হ্যাকিং শুরু করে। এর পর ধীরে ধীরে এর ব্যাপকতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, সাহসী এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের শপথ নিয়ে ২০১৭ সালের ৭’ই ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু করে ই-বার্তা। প্রতিষ্ঠার মাত্র ২ বছরের মাঝে সাধারণ পাঠকদের বিশ্বাসের জায়গায় নিজেদের ভীত গড়তে সক্ষম হয়েছে। ই-বার্তা বিশ্বাস করে দেশ ও সাধারণ মানুষের জন্য’ই সংবাদ, নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ’ই সংবাদ মাধ্যমের গনতন্ত্র।

ই-বার্তা সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।