সিইসি’র উপর ক্ষুদ্ধ চার নির্বাচন কমিশনার

ই-বার্তা ডেস্ক।।  নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসির সিনিয়র সচিবের ওপর ক্ষুব্ধ বাকি চার নির্বাচন কমিশনার।  

তারা ক্ষোভের কথা জানিয়ে গতকাল রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি ইউও নোট দিয়েছেন। এতে সম্প্রতি কমিশনের ৩৩৯ জন কর্মচারী নিয়োগ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সচিবালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে চার কমিশনারকে অবহিত না করার অভিযোগ করেছেন কমিশনাররা।

ইউও নোটে তারা উল্লেখ করেছেন, সচিবালয় এককভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে; যা সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, নিয়োগ অনুযায়ী সবকিছু হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ইসি, পিএসসি, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছেন। তিনি আরো বলেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হলে কমিশন তদন্ত করে দেখতে পারে। কমিটির সুপারিশ কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সিইসির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০০৯-২০১০ সাল থেকে নিয়োগ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম এভাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে।

ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১২ থেকে ২০তম গ্রেডের ৩৩৯ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ঐ পদের বিপরীতে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন আবেদন করেন। এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় ইসির ব্যয় হয় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। জালিয়াতির দায়ে ভাইভায় ১৩৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়। যুগ্মসচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইসির জনবল শাখা এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এসব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চারজন কমিশনার।

সংবিধান, আরপিও, ইসি সচিবালয় আইন ও বিধির আলোকে “নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওপর কার্যাদি’র বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার প্রসঙ্গে” গতকাল ইউও দিয়েছেন চার নির্বাচন কমিশন। এতে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন। তারা এই সকল বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু