সিনেট-প্রতিনিধি পরিষদেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে চলছে চরম উত্তেজনা। দুই প্রার্থীই বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন নিজেদের জয়ী হিসেবে দেখছেন।ট্রাম্প ইতিমধ্যে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ভোট চুরির প্রচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদেও চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।১০০ আসনের সিনেটে নিয়ন্ত্রণ পেতে অন্তত ৫১টি আসন নিশ্চিত করতে হবে।

ফক্স নিউজ জানাচ্ছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৫টি সিনেট আসনের ১৭টিতে জিতেছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। তাদের সিনেট আসন এখন ৪৭।অন্যদিকে ১২টি আসনে জিতে সিনেটে ডেমোক্র্যাটদেরও আসনসংখ্যা এখন ৪৭টি। বাকি আসনগুলোর মধ্যে রিপাবলিকানরা এগিয়ে রয়েছেন ৫টিতে, ডেমোক্র্যাটরা ২টিতে।

তবে প্রতিনিধি পরিষদে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে ডেমোক্র্যাটরা। মোট ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে ১৮৯টি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।অন্যদিকে তাদের কাছাকাছি ১৮৩টি আসন পেয়েছেন রিপাবলিকানরা। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে অন্তত ২১৮টি আসনের দরকার হবে।

প্রতি দুই বছর পরপর প্রতিনিধি পরিষদে ভাগ্য নির্ধারণ হয়। ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ২৩২টি আসন নিয়ে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা।অন্যদিকে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল রিপাবলিকানদের। সেখানে ৪৭-৫৩ ব্যবধানে ট্রাম্পের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের টাইব্রেকার ভোটও ছিল।

ফলে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে, যদি বাইডেন জয়ী হন তবে ডেমোক্র্যাটদের লাগবে ৩টি আসন। আর টাইব্রেকারে পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কামালা হ্যারিসের ভোট। তবে বাইডেন হেরে গেলে লাগবে চারটি আসন।এখনো জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের ফলাফল আসেনি। ফলে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে চূড়ান্ত পর্যায়ে কী ঘটে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।