সুনামগঞ্জে বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি ঢুকায় শঙ্কায় কৃষকরা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সুনামগঞ্জে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার চার উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকছে।  এতে করে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।  

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জামালগঞ্জ উপজেলার বেইলী ইউনিয়নের হালির হাওর ও শনির হাওরে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  বেশিরভাগ কৃষক বলছেন, ওই হাওরে এখনো তাঁদের ৫০ ভাগ ফসল রয়ে গেছে। 

একইভাবে তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওর, শনির হাওর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর ও ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরেও পানি ঢুকছে।  এতে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

কৃষকদের অভিযোগ, যেসব পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকছে, ওই বাঁধগুলোতে ভালো কাজ হয়নি।  তবে রাতে বাঁধ উপচে পানি ঢুকলেও এখন চার উপজেলার ওই সব বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে। 

আজ রোববার সকালে বেইলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার বলেন, বেইলী ইউনিয়নের হালির হাওরে ৩৫ ভাগ ফসল কাটার বাকি আছে।  আর আগে যে ধান কাটা হয়েছে, সেই ধানও হাওরের খলাতেই রয়ে গেছে।  তাই বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ফসল হারানোর আশঙ্কায় আছেন বেশিরভাগ কৃষক।

বাঁধের কাজে মাটির বদলে বালু দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।  তিনি বলেন, গত রাতে বাঁধ উপচে পানি ঢুকলেও পরে সেই বাঁধ ভেঙেই পানি ঢুকছে।

এদিকে কৃষি কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি হাওরের ৯০ থেকে ৯৩ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে।  কিছু কিছু হাওরে সামান্য ধান রয়ে গেছে। 

সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম জানান, গত রাত দেড়টার দিকে জামালগঞ্জ উপজেলার বেইলী অংশে হালির হাওর ও শনির হাওরে পানি ঢুকেছে।  হাওর থেকে ৯০ ভাগ ফসল কেটে ফেলা হয়েছে, বাকি কিছু ফসল এখনো হাওরে রয়ে গেছে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু