সু চির পাশে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট

নয়াদিল্লিতে ফিলিপিন্স-ভারত বিজনেস ফোরামে এক বক্তব্যে দুতের্তে বলেন, মানবাধিকার কর্মীরা কেবলই ‘গলাবাজের দল’। তাদের হৈ চৈ নিয়ে সু চির মাথা ঘামানো উচিত না।

দুতের্তে বলেন, “আমরা আমাদের নিজেদের দেশের কথা বলছি, নিজ দেশের স্বার্থের কথা বলছি… এবং আমি বলছি মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে কিছু ভাববেন না। তারা আসলে গলাবাজের দল ছাড়া আর কিছুই না।”

মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাড়ে ছয়লাখের বেশি রোহিঙ্গার দুর্দশা সামাল দিতে ব্যর্থতার জন্য সু চি আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের দমনপীড়নকে ‘জাতিগত শুদ্ধি’ অভিযান আখ্যা দিয়েছে। তবে মিয়ানমার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট দুতের্তে তার ভাষণে বলেন, “তার (সু চি) জন্য আমার দুঃখ হয়। কারণ, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তিনি শান্তির জন্য নোবেল পুরষ্কার জয় করা আর এখন শুরু হওয়া উত্তপ্ত বিতর্ক- এ দু’য়ের মাঝে পড়ে খাবি খাচ্ছেন। তিনি তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছেন।”

সু’চির মতো দুতের্তেও মানবাধিকার কর্মীদের তীব্র সমালোচনার মুখে আছেন। ফিলিপিন্সে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ‘হত্যার’ নীতি চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন।

দুতের্তের শাসনামলে মাদকবিরোধী অভিযানে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষ খুন হয়েছে এবং কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই এ হত্যাযজ্ঞ চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

তবে মাদক নিয়ন্ত্রণে মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হলেও তার পরোয়া করেন না বলে জানিয়েছেন ‘বন্দুকভক্ত’ দুতের্তে।