সেই ‘রিকশাওয়ালা’ এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডান হাত

ই-বার্তা ডেস্ক ।। ৩৪ বছর আগে জঙ্গিদের দখল থেকে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির উদ্ধারে ভারতীয় সেনাবাহিনীদের ‘অপারেশন ব্লুস্টার’ অভিযানে সহযোগিতা করা রিকশাওয়ালা এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডান হাত ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

১৯৮৮ সালে খালিস্তানি জঙ্গিদের হাত থেকে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির রক্ষা করার পেছনে যার সব থেকে বড় অবদান ছিল, সেই রিকশাওয়ালাই এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডান হাত এবং বর্তমানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল৷

 

১৯৮৪ সালে জুনের প্রথম সপ্তাহে (৩-৮) অমৃতসরের (পাঞ্জাব) স্বর্ণমন্দিরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন ব্লুস্টার। এই অপারেশনের উদ্দেশ্য ছিল, হরমন্দির সাহিব কমপ্লেক্সকে খালিস্তান সমর্থক জেনারেল সিং ভিন্ডরানওয়ালে এবং তার সমর্থকদের হাত থেকে মুক্ত করা৷

 

ভারতীয় একটি অনলাইন পোর্টাল থেকে জানা যায়, যখন স্বর্ণমন্দিরের দখল নেয় জঙ্গিরা সেই সময় ওই মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় রুজির টানে হাজির হয়েছিলেন অজিত দোভাল। তিনি খালিস্তানি জঙ্গিদের কাছে নিজেকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’র এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।

 

ভারতীয় সেনাদের অভিযানের দিন কয়েক আগে খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রভাবিত করে সেই অজিত প্রবেশ করেছিলেন মন্দিরের ভেতরে। পাক গুপ্তচর হওয়ায় খালিস্তানি জঙ্গিরা তাকে মন্দিরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিল সার্বিক পরিস্থিতি।

 

সেখান থেকে এসে অপারেশন ব্লুস্টারের জন্য একটি কক্ষে ভারতের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চলা বৈঠকে প্রবেশ করেন অজিত। এবং মন্দিরের ভেতরে জঙ্গিদের অবস্থান ও তাদের গতিবিধি সম্পর্কে সেনাদের জানান তিনি। পরে খালিস্তানি জঙ্গিদের হটিয়ে স্বর্ণমন্দিরের দখল নেয় ভারতীয় সেনারা।কীর্তি ও সাহসিকতার জন্যই অজিত বর্তমানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা৷ এবং তাকে প্রধানমন্ত্রীর ডান হাত বলেও মনে করা হয়৷

 

 

অজিত দোভাল অর্থশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৮ সালে আইপিএস অফিসার হন৷ চাকরিজীবনে মাত্র সাত বছরই ইউনিফর্ম পরেছিলেন তিনি। কারণ তাকে বিভিন্ন মিশনের জন্য বেশির ভাগ সময়ই দেশের বাইরে থাকতে হতো, যা অত্যন্ত গোপনীয়ও ছিল৷ চাকরি শুরুর ৪ বছর পর আইবিতে যুক্ত হন তিনি৷ ১৯৮৮ সালে তাকে কীর্তি চক্র সম্মানে সম্মানিত করা হয়৷

 

 

 

ই-বার্তা /ডেস্ক