সোনার কলসের ফাঁদে প্রতারণা: ভণ্ড ফকির আটক

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   ‘ঘরে রয়েছে দু’টি সোনার কলস। সেখানে পাওয়া যাবে ২ কোটি টাকার সোনা। তবে তিন কান হলেই ( ৩য় জন জানলে) সব বিফলে যাবে।’ভণ্ড ফকিরের এমন কথার ফাঁদে পড়ে গত ৮ মাস ধরে আব্দুল বারেক সরদার নামে এক ব্যক্তি খুইয়েছেন প্রায় ২০ লাখ টাকা।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত শনিবার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়েছে সোনালী রঙের জোরি মাখানো মাটির দলাসহ পিতলের দু’টি খালি কলস। এ ঘটনার হোতা ভণ্ড ফকিরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটক ভণ্ড ফকিরের নাম ইছহাক প্রামাণিক ওরফে ইছহাক ফকির। বাড়ি ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপির শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে। সেখানে ফকিরী আস্তানা গড়ে প্রায় এক যুগ ধরে এভাবে সে অলৌকিক ক্ষমতার ফাঁদ পেতে প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। জ্বীনের পাশাপাশি তার এ আস্তানায় চলে কালি দেবীর সাধনাও। তার এ অপকর্মে অন্যতম এক সহযোগী নিতাই কুমার ওরফে নাইতা নামে আরেক প্রতারক অবশ্য ঘটনার পর পালিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ইছহাকের এ ভণ্ডামির আস্তানায় প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে চলে বার্ষিক ওরসের আয়োজন। বহু অপকর্মের নায়ক এ ভণ্ড ইছহাক প্রামাণিক মাত্র মাস দেড়েক আগে শহরের ‘নিউ গার্ডেন সিটি’ নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক হয়। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১৫ দিনের সাজা দেয়। তার অন্যতম সহযোগী নিতাই কুমার নাইতাকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অপরদিকে সোনার কলসের ফাঁদে প্রতারণার শিকার আব্দুল বারেক সরদারের বাড়ি ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী রাজবাড়ি জেলার সুলতানপুর গ্রামে। তার বাড়ি থেকেই ভণ্ড ইছহাককে আটক করে নিয়ে আসে এলাকাবাসী।

আব্দুল বারেক সরদার সাংবাদিকদের জানান, শনিবার দুপুরেও ফকির ইছহাক তার বাড়িতে এসে জানায় যে, আসছে পুর্ণিমাতেই সোনায় কলস ভরে যাবে। কিন্তু তার সন্দেহ হচ্ছিলো। অনেক টাকা খুইয়ে ফেলেছেন এরইমধ্যে। স্ত্রী সন্তানেরা অধৈর্য হয়ে পড়েছিলো। অনেক ধারদেনা করে টাকা জোগাড় করেছি। পাওনাদারদের চাপে আর পারছিলাম না।

কোতয়ালী থানার এস আই সুকুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বারেক সরদার বাদী হয়ে ইছহাক প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া