সোলাইমানির লাশবাহী কফিন এখন ইরানের আহভাবে, শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল

ই-বার্তা ডেস্ক।। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মরদেহ ইরানে নেওয়া হয়েছে।

রোববার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাবে তার কফিন পৌঁছালে তাতে শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। আগামী কয়েকদিন ধরে তার এই শেষকৃত্যানুষ্ঠান চলবে। ৭ জানুয়ারি তাকে নিজ শহর কেরমানে দাফন করা হবে। শনিবার ইরাকে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেওয়া ইরানিরা ইরাক এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা নিয়ে ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ বলে স্লোগান দেয়। শহরের বিভিন্ন রাস্তাজুড়ে মিছিলে করেছে ইরানবাসী। এসময় তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলাইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি।

শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ১৯৯৮ সাল থেকে ইরানের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়া সোলাইমানি ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে দেওয়া হতো জাতীয় বীরের সম্মান। তার কুদস বাহিনী সরাসরি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে জবাবদিহিতা করে।

খামেনির পর জেনারেল সোলাইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো। সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সোলাইমানি নিহতের ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খামেনি বলেছেন, এ হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ‌চরম প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে।

এদিকে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের ওপর অথবা স্থাপনায় হামলা চালালে ইরানের ৫২টি স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার লেবাননের এক হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা বলেন, সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান সমর্থিত জোট প্রতিরোধের অক্ষের জবাব হবে চূড়ান্ত।