স্কুলছাত্রের টিফিন বক্সে গ্রেনেড, বিস্ফোরণে নিহত ৩

ই-বার্তা ডেস্ক ।। কাশ্মীরের বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণের দায়ে অভিযুক্ত নবম শ্রেণির ছাত্রটি তার টিফিন বাক্সের ভিতর গ্রেনেডটি রেখে দিয়েছিল। টিফিন বাক্সের ভিতরে ছিল শুকনো ভাত। তার মধ্যেই গুঁজে রাখা ছিল ওই ভয়াবহ গ্রেনেড। বৃহস্পতিবার গ্রেনেডটির বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন আরও ৩২ জন ব্যক্তি। খবর এনডিটিভির।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল যে, জম্মুতে হামলা হতে পারে। সেই কারণে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে বিস্ফোরণের এক ঘন্টার মধ্যেই ১৫ বছরের ওই কিশোরকে আটক করে ফেলা সম্ভব হয়। জম্মু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাগরোটা চেকপয়েন্ট থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিশোরটি পুলিশকে জানিয়েছে, ইউটিউবের ভিডিও দেখে সে নিজেই গ্রেনেড ছোঁড়া শিখেছিল। বাসস্ট্যান্ডে বাসের ভেতর থেকেই সে গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটায়। গতকাল যে দুজন ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন এই বিস্ফোরণে তাঁরা দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় থেকে শুক্রবার সকালে মারা যান হাসপাতালে।

এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানান, ‘আমরা এখন তদন্ত করে দেখছি, কীভাবে জম্মুতে এসে পৌঁছল ওই কিশোর। কারণ, এর আগে সে কখনওই জম্মুতে আসেনি। তাই তার পক্ষে রাস্তাঘাট চেনা সম্ভব ছিল না।’

স্কুলছাত্রের টিফিন বক্সে গ্রেনেড, বিস্ফোরণে নিহত ৩

জম্মু কাশ্মীরের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এম কে সিনহা বলেন, এই হামলার পিছনে রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন। ওই জঙ্গি সংগঠনেট কুলগাম শাখার প্রধান ফারুক আহমেদ ভাটই কীভাবে গ্রেনেডটি নিয়ে যেতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছিল ওই কিশোরকে।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া