স্ত্রীর জন্য সমুদ্র সৈকতে অক্ষয়ের টয়লেট নির্মাণ!

ই-বার্তা ডেস্ক ।। ১০ লাখ রুপি খরচ করে গণশৌচাগার নির্মাণ করেছেন বলিউডে তারকা খ্যাতির তুঙ্গে থাকা অক্ষয় কুমার। স্ত্রী টুইঙ্কল খান্নার তোলা ছবি আর টুইট থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি এই গণশৌচাগার নির্মাণ করেছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গণশৌচাগার তৈরি করা হয়েছে মুম্বাইর জুহু বিচে। তবে শৌচাগারের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন অক্ষয়। শৌচাগার বসানোর জায়গাটি অনেকেরই পছন্দ হয়নি। তা নাকি এখানে ঘুরতে আসা লোকজনের বিরক্তের উদ্রেক করেছে।

 

তবে অক্ষয় কুমারের মুখপাত্র বলেছেন, এখানে অক্ষয় শুধু শৌচাগার স্থাপনের ব্যয় বহন করেছেন। শৌচাগারের জন্য স্থান নির্বাচন করেছে স্থানীয় বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন।

জানা গেছে, অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্কল খান্না প্রায় প্রতিদিন সকালেই প্রাতর্ভ্রমণের জন্য আন্ধেরী শহরতলির ভারসোভা বিচে যান। সেখানে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য তাঁকে নিয়মিত দেখতে হয়। এই যেমন প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ। এসব দৃশ্য দেখে সেখানে আসা লোকজনকে বিব্রত হতে হয়।

 

গত বছর আগস্টে এই বিচে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগের ছবি টুইটারে পোস্ট করেন টুইঙ্কল খান্না। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে একটি লোককে সবার সামনে মলত্যাগ করতে দেখে বিরক্তি আর ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘সুপ্রভাত। মনে হচ্ছে, “টয়লেট: এক প্রেম কথা পার্ট টু”র প্রথম দৃশ্য।’

গত বছর জুলাই মাসে মুম্বাই শহরকে ‘প্রকাশ্যে মলত্যাগমুক্ত শহর’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণার মাত্র এক মাস পরই টুইঙ্কল খান্নার সেই টুইট খুব আলোচিত হয়। তখন ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ছবি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অক্ষয় কুমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন এই বলিউড তারকা।

এদিকে গত সপ্তাহে জুহু বিচে শৌচাগার বসানোর জন্য বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে আবেদন করেন অক্ষয় কুমার। তিনি এই শৌচাগার স্থাপনের জন্য খরচ বহনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

এই সংস্থার কর্মকর্তা প্রশান্ত গায়কোয়াড় বলেন, ‘অক্ষয় কুমারের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। চার দিন আগে জুহু বিচের কাছে একটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট বসানো হয়েছে। এই টয়লেট স্থাপনের জন্য খরচ হয়েছে ১০ লাখ রুপি।

 

পুরো খরচ এই বলিউড তারকা বহন করেছেন। বিনা খরচে এই শৌচাগার ব্যবহার করা যাবে। যদি কেউ এর রক্ষণাবেক্ষণে এগিয়ে আসেন, তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক