স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ১০ লাখ লোক নিবে কানাডা

ই-বার্তা ।।  তুলনামূলক ভাবে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের শর্ত শীথিল করা হয়েছে। নিয়মিত এক্সপ্রেস এন্টির ড্র, নতুন নতুন পি.এন.পি প্রোগ্রাম চালু, লো ট্রেড স্কিল প্রোগ্রামের মাধ্যমে কানাডা সরকার  বসবাস ও কাজ করার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে।

 

বাংলাদেশি লোকজনদের এই সুযোগটি নেয়া উচিত। আগ্রহী লোকজন একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ ও ফাইলটি প্রসেস করতে পারেন। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন এবং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে আবেদন ও ফলোআপ করার মধ্যেই সাফল্য পাবার সম্ভবনা থাকে।

পত্রিকার পাতা উলটালেই খালি চোখে পড়ে স্বপ্নের দেশ কানাডায় ইমিগ্রেশন করার হাতছানি। মনে হচ্ছে যে কেউ চাইলেই কানাডায় গিয়ে বসবাস বা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। আসলেই কি বিষয়টা এই রকম। যাচাই বাছাই না করে এই হাতছানিতে পড়ে অনেকেই হচ্ছে সর্বশান্ত। টাকা ও সময় নষ্ট করে অনেকের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার। ।

 

কানাডা ইমিগ্রেশনের খুটিনাটি বিষয়াদি সম্পর্কে Worldwide Migration Consultants Ltd এর চীফ কনসালট্যান্ট আলহাজ্ব শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন মুলত লো স্কিল ট্রেড ও হাই স্কিল ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি যোগ্য লোকজন কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে।প্রফেশনাল দক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রসেস ও ইনকোয়ারীর সঠিক জবাব ও অনেকের ক্ষেত্রে আপীলের মাধ্যমে সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করা যায়।সঠিকভাবে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ধৈর্য ধারন করতে হয় বলে তিনি মনে করেন।

 

হাই স্কিল ইমিগ্রেশন: সম্ভবনাময় একটি স্থায়ী উপায় হচ্ছে হাই স্কিল প্রোগ্রামে আবেদন করা।এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পি.এন.পি দুই উপায়ে আবেদন করে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যায়।বয়স-৩৫, আই.ই.এল,টি.এস ৭, মাস্টার্স বা অনার্স ডিগ্রী এবং সাথে এক বছরের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক কম খরচে এক্সপ্রেস এন্টির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়।

আই.ই.এল,টি.এস এ স্কোর কম থাকলে এবং বয়স একটু বেশী হলে নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবীরা পি.এন.পি প্রোগ্রামের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে দক্ষ আইনজীবীর সহায়তার কোন বিকল্প নাই। ব্রিটিশ কলম্বিয়া, সাসকাচুয়ান, ওন্টেরিওসহ অনেক প্রোভিন্সশনাল প্রোগ্রাম সাড়া বছরের চালু থাকে।

 

লো স্কিল্ড ট্রেড প্রোগ্রাম: অতি সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মতে আগামী তিন বছরে এই প্রোগ্রামসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে প্রায় ১০ লাখ লোক কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাবে।তবে যেহেতু কানাডায় লো স্কিল্ড কাজের সুযোগ বেশী এবং প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন হয় সুতরাং শুধুমাত্র এই ক্যাটাগরিতেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন অভিবাসনের সুযোগ পাবে। এটি একটি নিশ্চিত প্রোগ্রাম।এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে আবেদনকারীগনের IELTS এর প্রয়োজন পড়বে না।

শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি পাশ এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট, পুলিশ ও মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে।তবে আবেদনকারীগনের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।প্রচুর বেতন, থাকা খাওয়ার সুবিধা, ভালো কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্থায়ী হবার অপার সম্ভবনা ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনা করলে এই প্রোগ্রামটি অনেকের জন্যই একটি উপযুক্ত একটি প্রোগ্রাম।

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, আই.টি সেলস এন্ড মার্কেটিং, একাউন্টেন্ট ইত্যাদি পেশাজীবীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে লেখক, কলামিষ্ট ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ্ব শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ। এই বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রকৃত পক্ষেই যারা যোগ্যতা রাখে তাদের আর দেরী করা ঠিক হবে না।

২০১৮ সালে যেহেতু দক্ষ লোকজনের কোঠা অনেক বেশী, সুতরাং আবেদন করতে ইচ্ছুক লোকজনদের সবকিছু জেনে প্রস্তুতি নিবার এটাই উপযুক্ত সময়। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, অযোগ্য ব্যক্তিরা অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করবেন না।