স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকেই ফাঁস হতো মেডিকেলের প্রশ্নপত্র

২০১৩ সাল হতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকেই মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হতো। যার প্রধান মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মুন্নু। আর এই কাজের সাথে জড়িত তার পুরো পরিবার। শুধুই প্রশ্ন ফাঁস করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। এই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। সেই অভিযোগে ২০১৫ সালে রাজপথের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। দাবি জানানো হয় ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের এবং পুনরায় পরীক্ষার।

কিন্তু প্রমাণ না থাকায় সেই শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়নি ভর্তি পরীক্ষা। এর ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রথমে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মুন্নুকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সিআইডি দাবি করে শুধুই ২০১৫ সাল নয় ফাঁস হয়েছে ২০১৩ থেকে ধারাবাহিক ভাবে মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত প্রেস থেকেই। এই চক্রকের ৫ জনকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার কার হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি দাবি করে এই চক্রের সবাই শুধুই প্রশ্ন ফাঁস করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা তৈরী করছে বিলাস বহুল বাড়ি গাড়ি। এর সাথে আরো ৫০ জনকে ধরতে মাঠে কাজ করছে সিআইডি।