স্যাটেলাইট চিত্র এবং বিবিসি’র অনুসন্ধানে বালাকোট হামলার প্রমাণ মেলেনি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমান হামলা নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।  এই অভিযান নিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদির সরকার।  অভিযানে ভারত দাবি করে তারা জঙ্গিদের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে এবং ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে।  কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। 

একটি বেসরকারি সংস্থার পাঠানো উপগ্রহের তোলা কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় জয়শ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।  এদিকে বিবিসি’র এক অনুসন্ধানেও জঙ্গি হতাহত নিয়ে ভারতের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।  কিন্তু ভারতের বিমান বাহিনী হামলার একটি প্রমাণপত্র সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে হামলা চালায় জয়শ’।  জবাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢোকে ভারতীয় বিমান বাহিনী।  পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির, বালাকোট এবং চাকোটিতে বোমা ফেলে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দেওয়া হয়।  পরে বিমান বাহিনী এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখেল তা নিশ্চিত করেন।  বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত ৪ মার্চ নিজেদের একটি উপগ্রহ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর প্ল্যানেট ল্যাবস আইএনসি সংস্থা। হাই রেজলিউশন যুক্ত ক্যামেরা বসানো ওই উপগ্রহ আকাশ থেকে মাটিতে থাকা ২৮ ইঞ্চি আয়তন বিশিষ্ট যে কোনো বস্তুর সুস্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম।  সেই উপগ্রহের পাঠানো বেশ কিছু ছবির নাগাল পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে তারা জানিয়েছে, ছবিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ধরা পড়েনি।  বালাকোটের জাবা গ্রামে জয়শ’র জঙ্গিঘাঁটি দিব্য মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। 

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় ২৯২ জন জঙ্গি মারা গেছে।  কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে যারা শেয়ার করেছে তারা দাবি করেছে যে এই কথোপকথন হয়েছে একজন ভারতীয় এবং তার বন্ধু  ড: ইজাজের মধ্যে।  ড: ইজাজ থাকেন পাকিস্তানের বালাকোটে।  কাজ করেন বালাকোটের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বিবিসি’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বালাকোটে কোন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ই নেই।  

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু