‘হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছি’

ই-বার্তা।।  সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামের নুরুদ্দিনের মেয়ে হোসনে আরা পারভীন (৪২) ও স্বামী ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েক দশক ধরে তারা ক্রাইস্টচার্চে ছিলেন।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে হামলার পরপরই স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন হোসনে আরা আহমেদ (৪৪)। মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের কক্ষে ছিলেন তিনি।

হুইল চেয়ারে থাকা ফরিদ অন্যের সহায়তায় আগেই বের হয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি পারভীনের।স্ত্রীর সেই হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন ফরিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, তার (হত্যাকারী) জন্য প্রার্থনা করি, আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখাবেন।

তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছে। কিন্তু আমি হত্যাকারীকে ঘৃণা করি না। আমি ব্যক্তি হিসেবে হামলাকারীকে ভালোবাসি।

কিন্তু তিনি যা করেছেন, আমি তা সমর্থন করতে পারছি না। আমার মনে হয়, জীবনের কোনো একসময়ে তিনি হয়তো ভীষণ আঘাত পেয়েছেন।

তবে তিনি সেই আঘাতকে ইতিবাচক উপায়ে প্রকাশ করতে পারেননি। এ কারণে তিনি এই ধরনের ভুল কাজ করেছেন।

স্ত্রীকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করেন ফরিদ উদ্দিন। তার স্ত্রী কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতেন। মসজিদে শিশুদের পড়াতেন। স্ত্রী অন্যদের বাঁচাতে নিজের জীবন দিয়েছেন এবং এটাই ছিল তার শেষ কাজ।

আমি আমার মেয়েকে বলেছি, তার এই স্মৃতি নিয়েই আমাদের বাঁচা উচিত। তার জন্য কান্না না করে তার জন্য সুখী হওয়া উচিত আমাদের।

প্রসঙ্গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেনটন টেরেন্ট নামে এক শেতাঙ্গ বন্দুক হামলা চালায়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় অর্ধশত মানুষ।